কাহারোল(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি বা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের উক্তিতে “বিশে^ যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”। তাইতো“জাগো নারী বহ্নিশিখা” মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশের গুরুত্বপূূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ১০ জন নারী কর্মকর্তারা এই উপজেলায় জনগণকে প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের পদ ধরে দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিভিন্ন পদে আসীন নারী কর্মকর্তারা নিজেদের ভাবমূতি তুলে ধরেছেন স্বমাহিমায়। উপজেলার প্রশাসনের ১০ জন নারী কর্মকর্তা নিজ নিজ দপ্তরে অবদান রেখে সুনাম অর্জন করে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে আসছেন।
এই উপজেলায় যে সকল নারী কর্মকর্তা রয়েছেন তারা হলেন, (১) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোকলেদা খাতুন মীম, তিনি এই উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে উপজেলার প্রশাসনসহ বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করতে দেখা যাচ্ছে। যেখানেই সমস্যা সেখানেই নিজে গিয়ে সমাধানের চেষ্ঠা করে আসছেন। তিনি বলেন নারী-পুরুষ কোনো বিষয় নয়। কাজ করতে হবে নিজ দায়িত্ববোধ থেকে। যেকোনো কাজ সততার সঙ্গে পালন করায় নামই হচ্ছে দেশপ্রেম।
(২) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ, অত্র উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সেবা দিয়ে আসছেন। তার বিশেষ অবদানে সরিষা উৎপাদনে অগ্রানী ভূমিকা পালন করছেন। উপজেলায় মালটা, ভুট্রা এবং সেই সঙ্গে উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ধান উৎপাদন বেড়েছে। এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, নারীদের আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না, চাকুরির পেছনে না ছুটে চাষাবাদসহ নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে অর্থ উপার্জন করতে হবে। তিনি আরোও বলেন, কৃষি ও কৃষক না বাচলে দেশ বাচবে না।
(৩) উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জোবাইয়া নাজমীন, উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাছের অভয়ারন্য রক্ষণাবেক্ষণসহ মৎস্য চাষীদের মাছ চাষে উৎসাহিত করছেন। এই কর্মকর্তা বলেন, তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
(৪) উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায়, উপজেলায় যোগদান করার পর, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে আগোছালো কাজগুলো গোছিয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন সেবা দেওয়া হচ্ছেই আমার একমাত্র কাজ।
(৫) উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা মোস্তারী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা যোগদান করে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছেন। বাল্য বিবাহ থেকে বিরত রাখতে এবং নারীদের সচেতন করাসহ নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
(৬) উপজেলা তথ্য সেবা আপা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন মোছাঃ নুরজাহান বেগম, তথ্য সেবা আপা। নারীদের ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গ্রামের দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত নারীদের তথ্য ও প্রবেশাধীকার এবং তাদের তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও সেবা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এই নারী কর্মকর্তা। (৭) উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার রোকসানা আহাম্মদ, অত্র উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে দলিল সম্পাদন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সেবা দেওয়া হচ্ছে আমার কাজ, জমি ক্রেতা ও বিক্রেতারা উভয়ে যাতে হয়রানীর স্বীকার না হয় সেই দিকে সুন্দর ভাবে দৃষ্টি দেওয়া।
(৮) উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফা আরা রহমান, এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিকে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এই কর্মকর্তা আরোও বলেন, আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতেই হবে।
(৯) উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আখি সরকার গত ৬ জানুয়ারি এ উপজেলায় নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে অনেক হারে। যথাসাধ্য চেষ্ঠা করছি উপজেলার ভোটারদের সেবা দেওয়ার জন্য ।
(১০) উপজেলা জাইকা প্রকল্পের ফেসিলিটেটর মোছাঃ হেলেনা খাতুন, তিনি বলেন উপজেলার উন্নয়নের জন্য যত প্রকার সেবা দেওয়া দরকার তা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং সাধারণ জনগণের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প যাবতীয় কার্যক্রম সঠিক নিয়মে কাজ করায় আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
















