দিনাজপুরের হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় শীতের আগাম বার্তা মিলতেই জমতে শুরু করেছে লেপ-তোষক তৈরির কাজ। হেমন্তের বিদায় ও কার্তিকের শুরুতেই শীতল হাওয়া, কুয়াশা আর শেষ রাতের ঠান্ডা মিলিয়ে পুরো এলাকায় শীতের ছোঁয়া স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই নেমে আসছে ঘন কুয়াশা। উত্তরের জনপদ হওয়ায় দিনাজপুরে এবার হেমন্তের শেষের আগেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আর এ সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি বাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক কারিগররা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাপড় ও তুলার দাম বাড়ায় এ বছর লেপ-তোষকের দাম কিছুটা বেশি হলেও চাহিদা কমেনি। বর্তমানে ৪ থেকে ৫ হাত লেপ-তোষক বিক্রি হচ্ছে ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকায়। প্রতিটি লেপ তৈরিতে কারিগররা মজুরি পাচ্ছেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিদিনই ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা।
স্থানীয় কারিগর বিপ্লব বলেন, “এ বছর শীত একটু আগেই নেমেছে। তাই কাজের চাপ গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিদিনই কয়েকজন করে লেপ-তোষক বানাতে আসছেন।”
শীত বেড়ে যাওয়ায় রাতে গরম কাপড় ছাড়া ঘুমানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। নতুন করে লেপ-তোষক তৈরির প্রবণতা তাই পরিবারে পরিবারে বাড়ছে। বিশেষ করে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী নতুন মেয়ের জামায় লেপ-তোষক দেওয়ার প্রচলন থাকায় বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে।
২ উপজেলায় বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০টি লেপ-তোষক তৈরির দোকান রয়েছে। এসব দোকানে এখন শীতের আগমনী বার্তায় কর্মচাঞ্চল্য বাড়ছে, আর কারিগরদের ব্যস্ততায় মুখর হয়ে উঠেছে হাট-বাজার।


















