“সুস্বাস্থ্য সবার জন্য, কারো জন্য নয় ক্ষুধা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে কৃষকের জন্য অধিক লাভজনক উন্নত জাতের অধিক ফলনশীল ভূট্টাসহ বিভিন্ন শাকসব্জীর আবাদ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ‘বায়ার ক্রপ সায়েন্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। উন্নত জাতের অধিক ফলনশীল ভূট্টার জাতটি ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে এবং চাহিদা পুরনে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
বুধবার দিনাজপুর সদরের কর্নাই গ্রামের ৫একর জমির উপর গড়ে তোলা গবেষনা প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনে কৃষক, হাবিপ্রবির শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সমাবেশের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানের শুরুতে মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করে আদিবাসী নারীরা।
এর আগে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বায়ারের এশিয়া মহাদেশের রিজিওনাল প্রধান মিস মালু নাখরাইনার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বায়ার ক্রপ সায়েন্সের বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম এবং হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষকসহ অন্যান্যরা।
এখানে ৪টি (কেডিসি ৯২১৭, কেডিসি ৯১৬৫, কেডিসি ৯১৪৪ এবং কেডিসি ৯২৫৬) নতুন জাতের ভূট্রা চাষের প্রদর্শনী মাঠ পরিদর্শন করেন তারা। পাশাপাশি ফুলকপি বাধা কপি, শশা এবং মরিচসহ বিভিন্ন কৃষিজ ফলন প্রদর্শন করা হয়। কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে নতুন নতুন জাতের ভূট্রার উদ্ভাবনে গবেষনা চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা।
তারা আরও জানায়, উন্নত জাতের ভ‚ট্টার বিশেষ বৈশিষ্ট হবে, ঝড়ের বিরুদ্ধে অসাধারন দাড়িয়ে থাকার ক্ষমতা, অধিক ফলনশীল জাত, লম্বা ও সম-আকৃতির মোচা, আকর্ষনীয় কমলা রং এর দানা, পাতাপোড়া ও কান্ডপচাঁ রোগ সহনশীল জাত। পরিপক্ক হওয়ার পর ফসল সংগ্রহ করতে হয়। এসময় প্রতি হেক্টরে ১৩০০০ থেকে ১৪০০ কেজি পর্যন্ত ভ‚ট্টা পাওয়া যায়। রবি মওসুমে ভ‚ট্টা চাষে সর্বাধিক ফলন পাওয়া যায়। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর বপন করতে হয়।














