বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দীপশিখা দিনাজপুরের উদ্যোগে লিলিয়ান ফন্ডস এর অর্থায়নে, সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) সার্বিক সহযোগিতায় এবং ”দি মিনিংফুল পার্টিসিপেশন এন্ড ইনক্লুশন অফ চিলড্রেন এন্ড ইউথ উইথ ডিসএ্যাবিলিটিস ইন অল ডোমেইনস অফ কমিউনিটি বেইস রিহেবিলিটেশন” প্রকল্পের অধীনে দিনাজপুর জেলা সদরে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রতিবন্ধী যুবদের জন্য “অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবেশগম্য দক্ষতা উন্নয়ন” বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রবেশগম্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সচেতনতা বৃদ্ধি করা যা প্রতিবন্ধী যুবদের প্রযুক্তিগত ও পেশাগত শিক্ষায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দিনাজপুর সদর উপজেলার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এ. কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান, ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (কম্পিউটার) মোছা: নাজমা আখতার নাজু সহ সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং দীপশিখার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিমাংশু দেব দত্ত রায়, সিবিআর ফেসিলিটেটর শফী কামাল এবং ইম্পেক্ট গ্রæপ ও যুব সংঘের সদস্যবৃন্দ। প্রশিক্ষণের স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্প সমন্বয়কারী হিমাংশু দেব দত্ত রায় বলেন, “প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধী মানুষ তার সক্ষমতা অনুযায়ী অবদান রাখতে পারে, যদি সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র তাদের প্রতি প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করে ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব প্রদর্শন করে। এই প্রশিক্ষণ সেই দৃষ্টিভঙ্গিকেই আরও সুদৃঢ় করবে। উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত শিক্ষকমন্ডলী জানান, উক্ত টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যে ২% কোটা রয়েছে এবং প্রশিক্ষণ ও প্লেসমেন্ট চলাকালীন তাদের কিছু বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে এবং পরীক্ষার সময় তারা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্যে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় প্রদান করেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন টেকনিক্যাল কোর্স রয়েছে, তবে প্রতিষ্ঠানের বাহিরের শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। তবে সকল ধরনের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যে তাদের উপযোগী প্রশিক্ষিত জনবল এবং সহায়ক ও শিক্ষণ উপকরণ এর চাহিদা রয়েছে। ”প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি ও প্রবেশগম্যতা বিষয়ক ধারণা, নীতিমালা, এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা নিশ্চিত করার বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরা হয়। প্রশিক্ষণের শেষে অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবেশগম্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ প্রতিবন্ধী যুবদের আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা ও কর্মজীবনে অংশগ্রহণ বাড়াতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

















