নবম পে-স্কেলের চূড়ান্ত রিপোর্ট ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনপূর্বক নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে হাবিপ্রবি (১১-২০ গ্রেড) কর্মচারী পরিষদ।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিয়াজ উদ্দিন এর কাছে উক্ত স্বারকলিপি দেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) কর্মচারী পরিষদের পক্ষে মো. আব্দুল হাকিম (লেবু) ও মো. নুর জামান এর নেতৃত্বে পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫সালে বৈষম্যপূর্ণ অষ্টম পে-স্কেল প্রদান করার পর থেকেই আমরা সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বিগত সরকার আমাদের কোন অনুরোধই আমলে নেননি। দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পেলেও সর্বশেষ পে-স্কেল প্রদান করার দশ বছর অতিক্রান্ত হলেও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হলে আমরা নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা আশা করেছিলাম আপনার হাত দিয়ে বৈষম্য নিরসনপূর্বক নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন হবে। আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আপনি পে-কমিশন গঠন করে দিলেন এবং পে-কমিশন আমাদের কর্মচারী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভা করে। আমাদের প্রত্যাশা ছিলো ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যেই পে-স্কেল পাবো। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য আমাদের আশাহত করেছে। প্রধান উপদেষ্টা, আপনি আমাদের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আমরা চাই আপনার হাতেই সেই স্বপ্ন পূরণ হোক। সারাবাংলার প্রায় ২০ লাখ কর্মচারী আজীবন আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
পে-স্কেল আমাদের দাবি নয় অধিকার। অতএব আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে নবম পে-স্কেলের চূড়ান্ত রিপোর্ট ও ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনপূর্বক নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করেছেন হাবিপ্রবি (১১-২০ গ্রেড) কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

















