দিনাজপুরের বিরামপুর রেলস্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিতকরণ, সকল আন্তঃনগর ট্রেনে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি, রেলস্টেশনে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এবং ঝুঁকিপূর্ণ রেলগেটগুলো স¤প্রসারণ–এই চারটি জনদাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসাথে এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে প্রদান করা হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিরামপুর পেশাজীবী ঐক্য ফ্রন্টের উদ্যোগে বিরামপুর রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বস্তরের মানুষ প্ল্যাটফর্ম ও সড়কের দু’পাশে ভিড় করতে থাকেন। পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে এসমস্ত দাবি জানান ।বিরামপুরসহ দক্ষিণ দিনাজপুরের লাখো মানুষের প্রত্যাশা— এই সময়োপযোগী দাবিগুলো দ্রæত বাস্তবায়ন করে উত্তরাঞ্চলের রেলসেবাকে উন্নত করা হবে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন—পেশাজীবী ঐক্য ফ্রন্টের আহŸায়ক ও ঢাকা মোড় টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, উপজেলা আমীর হাফিজুর রহমান, পৌর সেক্রেটারি শাহিন, যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সানোয়ার হোসেন, দিনাজপুর দক্ষিণাঞ্চল উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোজাম্মেল হক, পেশাজীবী ঐক্য ফ্রন্টের যুগ্ম আহŸায়ক মাহমুদুল হক মানিক, বিরামপুর কলেজের সাবেক ভিপি সৈয়দ গোলাম মোরশেদসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন,বিরামপুর উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। অথচ এখানে প্রতিদিন প্রায় হাজারো যাত্রী ওঠানামা করলেও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি করে না। ফলে মানুষকে অন্য স্টেশনে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ ও বিপদজনকভাবে যাতায়াতে বাধ্য হতে হয়। এ অবস্থা আর মেনে নেওয়া যায় না।
মানববন্ধনে অংশ নেন বিরামপুর উপজেলা ছাড়াও নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর, হাকিমপুরসহ আশাপাশের কয়েকটি উপজেলার সাধারণ মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, ক্রীড়া সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সমিতি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেদের ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিল।
বক্তারা বলেন, যাত্রাবিরতি না থাকায় প্রতিদিন যাত্রীদের ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়; রাতে নিরাপত্তাহীনতা আরও স্পষ্ট। পুলিশ ফাঁড়ির অভাবে স্টেশন এলাকায় চুরি–ছিনতাইসহ নানা অপরাধের ঝুঁকি বাড়ছে। একইসাথে রেলগেটগুলোতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে; তাই দ্রæত স¤প্রসারণ প্রয়োজন।
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা রেলস্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাদের দাবি সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সরকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন—দাবিগুলো দ্রæত বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, রেলঘেরাওসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

















