পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈতপ্রবাহ। টানা পাঁচদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে অবস্থান করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তা নেমেছে ৮ ডিগ্রির ঘরে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আবহাওয়া অফিসের ভাষায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে গত পাঁচ দিনে তেঁতুলিয়ার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ থেকে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বুধবার বিকেল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উত্তরের হীম বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারণে তীব্র শীত অনুভ‚ত হতে থাকে। সন্ধ্যার পরই ফাঁকা হতে থাকে বাজার-ঘাট। তবে রাতে তেমন একটা কুয়াশা ছিল না। তবে কুয়াশা না থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের পর থেকে দেখা যায় সূর্যের মূখ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝলমলে কড়া রোদের কারণে তীব্র শীত থেকে কিছুটা মুক্তি পায় পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষগুলো। তবে বিকেল থেকে আবারও শুরু হয় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিম বাতাস।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগও। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে নিম্নআয়ের মানুষদের মাঠে-ঘাটে বের হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট, বাড়ির সামনে কিংবা চা-স্টলের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীত নিবারণ করতে খড়কুটো জালিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে কমপক্ষে ১৭ জন মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার সন্ধায় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ এলাকায় আগুন পোহাতে গিয়ে মধ্য বয়সী এক নারী আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, টানা পাঁচ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করার পর বৃহস্পতিবার তা আরও কমেছে। সকাল নয়টায় মৌসূমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এলাকাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শীতের এই দুর্যোগে জেলা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন নিয়মিতভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ অর্থে ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল ক্রয় করে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৬৫ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।


















