রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ পাখির কিচির মিচির শব্দ শুনতে কার না ভালো লাগে। তবে সেটা যদি হয় নানা প্রজাতির বাহারি রঙের বিদেশি পাখি। তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এমনি ভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের সহদোর গ্রামের তাহেরুল ইসলামের (তহরুম মেম্বার) ছেলে বেকার যুবক মোশারফ শখের বশে পাখি কিনে পালন শুরু করেন। তবে শখ থেকে তিনি এখন বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন ও বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
অনন্য উদ্যোগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে পাখি পালন করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা মোশাররফ হোসেন। শখের বশে শুরু করা পাখি পালনের কাজ এখন তাকে এনে দিয়েছে পরিচিতি। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাও কিনেছেন পাখি।
মোশাররফ হোসেনের বাড়ির আঙিনায় এখন রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি। নিয়মিত যতœ,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সঠিক পরিচছন্নতার ও খাবারের মাধ্যমে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই পাখি পালনকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তার সংগ্রহে আছে,শানকুনুর,পাইনআপেল,কুন‚র,সোনালী ময়না বিভিন্ন ধরনের কোকাটেল,লাভবার্ডসহ আরও বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি, এছাড়াও তার খামারে রয়েছে আমেরিকান লাতামেক্স কুকুর ও পার্ফিয়ান বিড়াল সেগুলো দেখতে প্রতিদিনই অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বাড়িতে।
স্থানীয়দের মতে, পাখি পালন নিয়ে মোশাররফের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার এই সাফল্য অনেক তরুণকে অনুপ্রাণিত করছে খামার ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে। মোশাররফ হোসেন জানান, আমি গত ৫ বছর ধরে এ খামার করে আসছি। ভবিষ্যতে আরও বড় করে পাখির খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে তিনি এলাকার বেকার যুবকদেরও এ কাজে যুক্ত করতে চান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, পাখির রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। কম সময় ও খুব কম খরচে এসব পাখি লালন-পালন করা যায়,এবং লাভজনক একটা পেশা বলা যেতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের দাপ্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খাজিদা বেগম বলেন,প্রাণী সম্পদ মেলায় মোশারফের স্টলে আমি পাখি দেখেছিলাম,তাই আমার ছোট ভাগিনার জন্য এখানে পাখি কিনতে এসেছি। খামারের পাখিগুলো দেখে আমাকে খুব ভাল লাগছে, আমাদের যুব সমাজ তরুণ তরুণীরা যেন পাখি নিয়ে কাজ করে তাহলে বেকারত্ব দুর হয়ে আয়ের উৎস তৈরি হবে।

















