বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কুড়িটাকিয়া ব্রিজ ভেঙে ১০ দিন অতিবাহিত হলেও নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি কাঠের ব্রিজ। এ ঘটনায় আশপাশের বেশ কয়কটি গ্রামের অন্তত ৫০ – ৬০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী জানান,বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের মানুষের চলাচলের প্রধান সড়কের ওপর নির্মিত কুড়িটাকিয়া ব্রিজটি গত ২ আগষ্ট সামান্য বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে। এতে করে উপজেলা সদরের সঙ্গে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ও উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল তিনিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাঠের ব্রিজ নির্মাণের ঘোষণা দেন। কিন্তু ১০-১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্পন্ন হয়নি। কাঠের ব্রিজ নির্মাণে আসা নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক মিস্ত্রি জানান,ব্রিজটি নির্মাণে ২৬ ফুট লম্বা খুঁটি লাগবে। কিন্তু উপজেলার কোথাও এ ধরনের খুঁটি পাওয়া যাচ্চে না। কাঠের ব্রিজ তৈরিতে কমপক্ষে তিন লাখ টাকার প্রয়োজন। সে টাকা নিয়েও উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের মধ্যে ঠেলাঠেলির কারণে কাঠের ব্রিজটি নির্মাণে এতো সময় লাগাচ্ছে। সরজমিনে বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়,ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনো মতো পারাপার হচ্ছেন মানুষ। পারাপার করতে গিয়ে প্রতি নিহত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষ। বৃষ্টির পানি বাড়লে সাঁকোটি যে কোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে। এব্যাপারে পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তহিদুল ইসলাম জানান,ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে। কাঠের সাঁকোটি নির্মাণে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ লাগচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। আপাতত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুত কাঠের ব্রিজটি সম্পন্ন হবে।