রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ১৮মাস বন্ধের পর ১২ই সেপ্টেম্বর রবিবার খুলেছে ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলে ২২৬টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা।এছাড়াও খুলেছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোও । এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। শিক্ষক ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের স্কুলগুলোতে স্বাস্থবিধি মেনে প্রবেশ করছে। প্রাণোচ্ছল রুপ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাঙ্গন। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ¡াস থাকলেও কোনো কোনো অভিভাবকের মধ্যে ভর করেছে আতঙ্কও। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী; যারা নতুন ভর্তি হয়েছে, তাদের জন্য আজই স্কুল-কলেজের প্রথম দিন।
উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটক নতুন করে সাজানো হয়েছে। কোনো কোনো স্কুল কলেজে করতালি দিয়ে ফুল দিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েছে । উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ১৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল। সে আলোকই প্রস্তুত করা হয়েছে স্কুল কলেজ গুলো। তবে স্কুল খুললেও কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। পড়াশোনায় কোনো চাপও থাকবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দুই মাসের মধ্যে কোনো ধরনের ম‚ল্যায়ন ও আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জ্বর মাপার জন্য থার্মোমিটার, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণও রাখা হয়েছে। অনেকদিন পর শিক্ষার্থীর পেয়ে আনন্দে পরিপ‚র্ণ মনে হয়েছে শিক্ষাঙ্গন। বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে তাদের।
মহিলা ডিগ্রী কলেজের সিনিয়র প্রভাষক সামসদ আলী সামসুদ্দিন জানায়- শ্রেণি কক্ষে ছাত্রীদের সাথে মত বিনিময় করে বেশ ভালো লাগলো। তাদের আগ্রহ ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলাম। কলেজ ছাত্রী সাবাবা তাসনিম এসা নামে এক শিক্ষার্থী বলে, আঠারো মাস পরে কলেজে এসে নতুন নতুন বান্ধবীদের সাথে পরিচয় হয়ে বেশ ভালোই লাগছে। 
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দিন মীরডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন কালে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বলেন- সবাইকে মাস্ক পরে স্কুলে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবার মাস্ক পরার কারণে কোনো শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে কি না, সে বিষয়েও শিক্ষকদের দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এসময় উপস্থিত থেকে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মনজুর আলম বলেন- সরকারের ১৯ দফা নির্দেশনা মতে রাণীশংকৈল উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও ১৫৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরিভাবে খুলেছে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে পেরে খুবই খুশি ।
রবিবার , ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
