ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় এক বছর অতিবাহিত হলেও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ মামলায় ভিকটিমের মা নুরফা আক্তার বাদী হয়ে রানীশংকৈল থানায় মামলা করলেও সব আসামীরা জামিনে মুক্ত আছেন। বর্তমানে রাজিউলের পরিবার বিভিন্নভাবে বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে পাশ্ববর্তী হরিপুর উপজেলার আমগাও গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে রাজিউল ইসলাম (২০) নামে এক যুবক উত্যক্ত করে বিভিন্ন রকম কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৪ অক্টোবর কোচিংয়ে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসযোগে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রথমে ভিকটিমের মা রানীশংকৈল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করলেও পরবর্তিতে জানতে পারেন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। পরক্ষণেই তার মা রানীশংকৈল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রাজিউল ইসলামের পিতা আবেদ আলী, মা রসনা বেগম (৩৮), বড় ভাই আইনাল হক (২৫), একই উপজেলার গেদুড়া গ্রামের দবিরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম, কামারপুকুর গ্রামের জমিরুল ইসলামের ছেলে সবুজ (৩০), পাশ্ববর্তী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ডালিমপাড়া গ্রামের মৃত আসির উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮) কে আসামী করা হয়। এ মামলায় চলতি বছরের ৬ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে এসআই হাফিজকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
বাদিনী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের কাছে বহু ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি। আমার স্বামী, ভাই আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই।
রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, বিষয়টি জানলাম, বাদিনী থানায় যোগাযোগ করলে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Quick Reply