পীরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে কাটা গাছের গুড়ি নিয়ে যেতে পারেনি কাঠ ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার বিকালে কাটা গাছের আংশিক আটক করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ কাছে জমা দিয়েছেন জনতা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলছেন, ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসি জানায়, উপজেলা কোষাডাঙ্গীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের পেছনে বিদ্যালয়ের জমিতে থাকা একটি তেতুল গাছ একই এলাকার মোস্তাফা আলম নামে এক ব্যক্তি জনৈক আব্দুল হাই নামে কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। ঐ কাঠ ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার বিকালে তেতুল গাছটি কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকা লোকজন বাধা দেয় এবং কাটা গাছে অংশ আটক করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিণুফা বেগমকে খবর দেন। পরে প্রধান শিক্ষকের কাছে গাছের আংশিক জমা দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক তা বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে জমা রাখেন।
এ নিয়ে শুক্রবার সকালে বিদ্যালয়ে সভা হয়। সভায় এলাকার লোকজন অভিযোগ করলেও প্রধান শিক্ষক সহ কমিটির কয়েকজন বিষয়টি বাড়াবাড়ি না করে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেন। একটি মহলও প্রধান শিক্ষক সহ কমিটির লোকজনের সাথে যোগাযোগ কওে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের মতামত জানতে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্মল কুমার গোস্বামী শুক্রবার সন্ধায় মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।