Tuesday , 4 January 2022 | [bangla_date]

ঠাকুরগাঁওয়ে ধানের চেয়ে খড়ের কদর বেশি!

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় খড়ের দাম বাড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তারা জানিয়েছেন, এককেজি ওজনের একটি খড়ের আঁটি ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা। সেই জমি থেকে খড় পাওয়া যায় ৪৫০ থেকে ৫শ’ আঁটি। গবাদি পশুর পালন বেড়ে যাওয়ায় খড়ের দামও বেড়েছে। রানীশংকৈল উপজেলার ভবানন্দপুর গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী (৫৫) বলেন, এখন ‘ধানের চেয়ে এখন খড়ের কদর বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর আগে অনেককে খড় বিনামূল্যে দিয়েছিলাম। এখন কেউ খড় চাইলে কষ্ট হয়। ধান দিতে রাজি কিন্তু খড় দিতে রাজি না। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ধান চাষে লাভবান হচ্ছি।’ রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রানীশংকৈল উপজেলায় চলতি মৌসুমে এবার আমনের ২১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা ৫ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে আগাম হাইব্রিড জাতের আমনেরও চাষ করেছেন। ধান উৎপাদন হয়েছে ১লাখ ৬ হাজার ৮৯ মেট্রিক টন। এতে কৃষকরা খড়ের আঁটি পেয়েছেন প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ ১২৫০টি।
রাণীশংকৈল উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায় বলেন, রানীশংকৈল উপজেলায় গরু ও মহিষ রয়েছে ১লাখ ৬৮৯ টি । প্রতিটি গরুকে গড়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ আঁটি খড় খাবার হিসেবে দিতে হয় এবং মহিষকে দিতে হয় ৯ থেকে ১০ আঁটি। বিশেষ করে দুধেল গাভির জন্য খড় খুবই উপকারী। এজন্য কৃষকরা বাজার থেকে কেনা গো-খাদ্যের চেয়ে ধানের খড়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ভরনিয়া গ্রামের কৃষক প্রেমানন্দ রায় (৬০) বলেন, ‘এ বছর ১২ বিঘা জমি থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার খড়ের আঁটি পেয়েছি। ৫টি গরুর জন্য ৩ হাজার আঁটি রেখে দিয়ে বাকি সাড়ে ২ হাজার আঁটি প্রতি পিচ ১২ টাকা দরে বিক্রি করেছি। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ধান চাষে লাভবান হচ্ছি।’লেহেম্বা গ্রামের কৃষক শামসুল ইসলাম (৫২) বলেন, ‘ধান চাষ করে তেমন লাভ না হলেও খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুশি। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে।’
‘এ বছর ৮ বিঘা জমির খড় বিক্রি করে পেয়েছি ৫০ হাজার টাকার মত। আমার কাছে এখন খড়ের কদর অনেক বেশি,’রাতোর গ্রামের গরু পালনকারী মনোয়ার হোসেন (৪৯) বলেন, ‘খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ। বাজারে গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। আমার ৭টি গরু আছে। ১টি দুধেল গাভি। প্রতিদিন ৩৫-৩৬টি আঁটি খড় লাগে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে আশেপাশে খালি জমি ছিল। ঘাসের অভাব ছিল না। এখন জমি পতিত থাকে না। তাই ঘাসের জমির অভাব।’
কাশিপুর মাহারাজা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৫২) বলেন, ‘প্রায় বিঘা জমি থেকে ১ হাজার ৪০০টি খড়ের আঁটি পেয়েছি। ৮টি গরু আছে। তাই ৫ হাজার খড়ের আঁটি মজুদ রেখেছি। আগের চেয়ে গরু ও দুধের দামও বেড়েছে।’রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘কৃষকরা এখন ধানের খড়ের প্রতি খুবই যত্নশীল হয়েছেন। অনেকে খড় বিক্রি করেই ধান চাষের খরচ তুলছেন। এখন তারা ধান চাষে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।’

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় ১১৩৪২০জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

বীরগঞ্জে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সবধরনের প্রস্তুতি চলছে

সুমনের দল প্রীতি ম্যাচে হরিপুর ফুটবল একাদশকে ৩ গোলে হারালো

পার্বতীপুরে এমপি এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মহিলা বি এম কলেজের ভবন উদ্বোধন

মহিলা পরিষদের উদ্যোগে পাঠচক্র

বোচাগঞ্জে নবাগত ইউএনও মারুফ হাসান এর মতবিনিময় সভা

রাণীশংকৈলে জাহাঙ্গীর হত্যা মামলার প্রধান আসামী মুশা মাষ্টার গ্রেফতার !

বীরগঞ্জে রাতের আঁধারে ৩হাজার সবজি গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রস্তুত গোর-এ শহীদ ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯ টায়

বীরগঞ্জে ক্রিকেট নাইট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন