পীরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর পাঠাগারটি আবারো চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন পৌর কতৃপক্ষ। এরই মধ্যে পাঠাগারের আবসবাব পত্র  সহ ঘড়ের ভিতরের মেরামত কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন চলছে পাঠাগার ভবনের বাইরে রং করার কাজ। রবিবার সকালে পাঠাগার সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে আসেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক। এসময় পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, পীরগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি বিষ্ণু পদ রায়, সাংবাদিক আমিনুর রহমান হৃদয়, পৌর কাউন্সিলর কামরুজামান ও মিলন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে মেয়র সাংবাদিকদের জানান, ১৯৮৬ সালে উপজেলা পরিষদের তত্তাবধানে এ পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়। তৎকালীন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবুল হাসনাত মোজাফ্ফর করিম এর উদ্বোধন করেন। ১৯৮৯ সালে পীরগঞ্জ পৌরসভায় উন্নীত হলে পাঠাগারটি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তাস্তর করা হয়। শুরু থেকেই পাঠাগারটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত  খোলা রাখা হতো। সন্ধ্যা হলেই পাঠাগারে ভিড় জমত বইপ্রেমীদের। নাটক, গল্প, কবিতা, বিভিন্ন গুণীজনের জীবনী ও রাজনৈতিক বইগুলোর প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। অনেক স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আসত বইপড়ার জন্য।
২০০৬ সালে পাঠাগারের সহকারী লাইব্রেরীয়ান আকতারুল ইসলামের মৃত্যু হলে বন্ধ হয়ে যায় পাঠাগারটি। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় পাঠাগারের দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ও আলমিরায় ঘুন ধরে, নষ্ট হয় বই-পুস্তক। এ অবস্থায় বিগত মেয়রের আমলে পৌরবাসীর অনুরোধে পাঠাগারটি সংস্কার করে চালু করার ব্যবস্থা করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা বেশি দিন টেকেনি। কয়েক মাসের মধ্যে পাঠাগারটি বন্ধ করে আবারো তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দরজায়।
এ নিয়ে গনমাধ্যমে অনেক লেখা লেখি হয়। অবশেষে দীর্ঘ ১৫ বছর বর্তমান প্রগতিশীল মেয়র পাঠাগারটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল জানান, পাঠাগারটি বন্ধ থাকার কারণে অনেক বই প্রেমী পাঠাগারে বসে বই পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। পাঠাগারটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার বইপ্রেমীদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। এটি চালু হলে পাঠকরা আবারো বই পড়ার সুযোগ পাবে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি নিজের জ্ঞান ভান্ডারকে সমুদ্ধ করতে পারবেন বই পাঠকরা।
প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বই সম্বলিত এ পাঠাগারটি শীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করছেন পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক।

 
                    







 
                                    



 
                                            



