তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
তেঁতুলিয়ায় অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় আপত্তিকর অবস্থায় নারীসহ দুই তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ্য করেছে গ্রামবাসী। আটককৃতরা হলেন মাগুড়া গ্রামের রানী (৩৫), বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের এয়ারব হোসেনের পুত্র আবু কালাম (২০) ও একই ইউনিয়নের পেদিভিটা এলাকার আইনুল হকের পুত্র আসাদুল ইসলাম (২১)। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ওই নারী এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে ফাঁসিয়ে জরিমানার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার ফাঁসানো মামলায় ৭ মাস ধরে জেল খাটছে মাগুড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন নামের এক তরুণ।
জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের রানী (৩৫) নামের ওই নারী তার বাড়িতে দুই তরুণের সাথে অনৈতিক কাজ করছিলেন। এ সময় এলাকার কয়েকজন নারী তাকে হাতে নাতে ধরে দুই ঘন্টা আটকে রেখে পুলিশে দেন। গ্রামবাসির অভিযোগ, এই নারী দীর্ঘদিন ধরেই দেহব্যবসার সাথে জড়িত। বিভিন্ন জায়গা থেকে খদ্দের ডেকে তার বাড়িতে এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছে। এ অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে বললে পড়তে হয় বিপদে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে থাকে এ নারী।
আনোয়ার হোসেন, মজিবর ও দেলোয়ার হোসেনসহ ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসি জানান, গত বছর এই গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (২৬)কে ধর্ষণের ফাঁসানো মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ৭ মাস ধরে জেলখাটছে ওই তরুণ। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে গত রবিবার রাতে আপত্তিকর অবস্থায় দুই ছেলেকেসহ ওই নারীকে হাতে নাতে ধরে পুলিশে সৌপর্দ্য করা হয়। এ সময় গ্রামের শতশত মানুষকে খুবই উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায়। তাদের দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো নিরাপরাধ দেলোয়ারকে জেলখানা থেকে মুক্তি দেয়া হোক। এ সময় তারা এই নারীর শাস্তি দাবি করেন, আর যাতে কোন অনৈতিক কাজ করতে না পারে।
এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া জানান, আপত্তিকর অবস্থায় তিনজনকে আটক করে টুনাইনটি (২৯০) ধারায় মামলা রুজু করে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।