দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনে নেওয়ার হয়েছে কঠোর নজরদারী ও জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একটি মহল নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে দিনাজপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ বাহিনী। নজরদারিতে থাকবে চৌকস গোয়েন্দা টিম। এ কারণে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সারাদেশের প্রতিটি থানায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য সার্বক্ষণিক সাইবার মনিটারিং করা হচ্ছে।
দিনাজপুর জিআরপি রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইরশাদুল হক ভুঁইয়া জানান, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন আমরা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। ট্রেনের ভিতরেও আমরা মনিটরিং ও চেকিং সহ মানুষের দেহ, লাগেজ, বিভিন্ন মালামাল তলাশী করছি, যাতে করে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ও নাশকতা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সর্বাত্মক সজাগ রয়েছি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে দিনাজপুর রেলওয়ের স্টেশন সুপার (এসএস) মোঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া জানান, আমরা সর্বত্মকভাবেই রেলওয়ে প্রশাসন ট্রাফিক বিভাগ, জিআরপি পুলিশ, বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আর,এন,বি) রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কৌশল, নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্রেনের ভিতরেও যাতে কোন রকম নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারেও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বহুল আকাঙ্খিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর একদিন পর ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এটি দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাংশের সংযোগ ঘটবে।