দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের দিনাজপুরে এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তেলবাহী লরি চাপায় নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী মা বিউটি আক্তার ও তার মেয়ে ফাহিমা আক্তার এবং দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু পুত্র নাসরুল্লাহ।
এতে গুরুতর আহত হয়ে মোহাম্মদ হোসাইন (৪৫)হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঈদের ছুটি উদযাপনে স্ব-পরিবার নিয়ে দিনাজপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলারহাট নিজ বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গতকাল বুধবার ভোরের দিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, বিউটি আক্তার(৩৫)দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার তেঘরা দারুল হাদিস সালাফিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসাইনের স্ত্রী এবং তার মেয়ে ফাহিমা আক্তার (১৫) এবং শিশু পুত্র নাসরুল্লাহ(২)। আহত মোহাম্মদ হোসাইন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন বিরল উপজেলায়। তাদের নিজ বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার পাঁচটিকুড়ি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার ভোরে একই মোটরসাইকেলে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে দিনাজপুরের বিরল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাচ্ছিলেন। ভোর পৌনে ৫টার দিকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে বিপরীতগামী একটি তেলবাহী লরি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মোহাম্মদ হোসাইনের স্ত্রী বিউটি আক্তার ও মেয়ে ফাহিমা আক্তার। আহত হয় মোহাম্মদ হোসাইন ও তার শিশুপুত্র নাসরুল্লাহ।দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠান এবং আহত বাবা-ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহতের চাচা মোহাম্মদ হাসান জানান, দুপুরে যখন আমরা ভাবি ও ভাতিজির মরদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে তুলছিলাম, সেই সময় শিশু নাসরুল্লাহ মারা যায়। ভাই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ঈদের ছুটি পাওয়ায় ভোরে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে পেছন দিক থেকে তেলবাহী একটি লরি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে রাস্তায় পড়ে মা ও মেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় মোহাম্মদ হোসাইন ও শিশু ছেলে সাইফুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।