দেশের একমাত্র কয়লা উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার।
জানা যায়, গত ১মে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষে কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় নির্ধারিত হওয়ার বিপরীতে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেই সময় কয়লার মজুত ছিল ৩৬ হাজার টন। কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ফলে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অধিক জনবল নিয়োগের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০দিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোং লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, কয়লা খনির পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজের জন্য গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে টানা ২ মাস ২৭দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। ফলে কয়লা সংকটে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহতে শঙ্কা কাটিয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান,বুধবার সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ কয়লা উৎপাদন উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে যন্ত্রাংশ অ্যাডজাস্টমেন্টসহ সকল প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে প্রায় সপ্তাহ খানিক লাগতে পারে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, খনিতে বর্তমানে ৪০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। আশা করছি, পুরোপুরি উৎপাদন চালু হলে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।