Thursday , 28 July 2022 | [bangla_date]

রেলের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের হোতা ঠাকুরগাঁও রেলের দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
অবশেষে রেলের দুই কালোবিড়াল ধরা পড়েছে। ঠাকুরগাঁও রোড রেলওয়ে স্টেশনের রেলের টিকিট কালোবাজারি করার অভিযোগে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার অনুপ বসাক ও বুকিং সহকারী ফারুক হোসেনকে গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সাসপেন্ড করে লালমনিরহাট ডিভিশনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশন মাস্টার আখতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদ জানান, রেলের টিকেট কালোবাজারির অভিযোগে বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। রেলের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রেলযাত্রী আর ভুক্তভোগীরা বার বার অভিযোগ করে আসলেও রেলের থেকে এতদিন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ ছিল, টিকেট কালোবাজারিতে যুক্ত রয়েছেন রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কিন্তু স্টেশন মাস্টার বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। অবশেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের উল্লিখিত দুজনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন রেলের বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা। কী অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হল এমন প্রশ্ন করলে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আখতারুল ইসলাম জানান, “তেমন কিছুনা, কাউন্টারের ভিতরে লোক ঢুকেছিল, ঐ দুজন কাউন্টারের ভেতর থেকে তাদের টিকিট দিচ্ছিলেন। এমন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন কর্তৃ পক্ষ । কিন্তু অন্য একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে রেল স্টেশনের টিকিট রুম খুলে অনুপ কুমার বসাক এবং ফারুক হোসেন বিশেষ প্রক্রিয়ায় টিকিট কেটে রাখছিলেন। বিষয়টি প্রযুক্তির মাধ্যমে লালমনিরহাট ডিভিশনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাৎনিকভাবেই জানতে পারেন। সাথে সাথে তাদের ফোন করে সকালের মধ্যে লালমনিরহাট হেড অফিসে আসার নির্দেশ প্রদান করেন। সেখানেই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম এতটাই বেড়েছে যে অনলাইন কিংবা কাউন্টার কোথাও সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পেতেন না। ঈদের আগে ও পরে এবং বিভিন্ন পরীরা সময় একটি টিকিট তিন চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হত প্রকাশ্যেই। এখানকার রেলযাত্রীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, রেল স্টেশনের স্টাফরাই কালোবাজারির সাথে জড়িত। কিন্তু রেলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় টিকিট কেটে রেখে পরে অনেক বেশি দামে দালালের মাধ্যমে বিক্রি করতেন। রেলের দু’জনকে সাময়িক বরখাস্তের খবরে ভুক্তভোগী রেলযাত্রীরা কিছুটা সস্তোষ প্রকাশ করেন। অনেকেই বলেন, শুধু এ দু’জন নয় এর সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। রেলের টিকিট কালোবাজারির দৌরাত্মে রেল যাত্রীরা আজ অতিষ্ঠ। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে রেলের সব অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীর অপসারণ করা দরকার বলে মনে করছেন ঠাকুরগাঁওবাসী।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুরে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় মহান একুশে ফেব্রæয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য প্রত্যেকটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিরামপুরে  পদ হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিরামপুরে পদ হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান

ঈদ উপলক্ষে ৭ দিন বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানী

হাবিপ্রবিতে “সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণ” বিষয়ক সভা

সেতাবগঞ্জ চিনিকল দ্রুত সংস্কারের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জরিমানা

টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট দিনাজপুরে “চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: আমাদের প্রস্তুতি” শীর্ষক সেমিনার

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠবার্ষিকী পালন

বালিয়াডাঙ্গীতে ফ্যানের সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু