মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ একই স্থানে সভা ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ অবস্থায় রুহিয়ায় ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবারের বিএনপির সার, জ্বালানী তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি। বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান বলেন, ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার পুর্ব নির্ধারিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রুহিয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার রহমান একই স্থানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভা আহবান করা হয়েছে উল্লেখ করে আইন শৃংখলা অবনতির আশংকায় ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন। দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে জনজীবন আজ বিপন্ন। ভোলা জেলায় প্রতিবাদ সভায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম নিহত হয়। ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমও নিহত হয়। এ ঘটনায় বিএনপি উদ্বিগ্ন ও হতবাক। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। ১৪৪ ধারা জারীর মাধ্যমে জনগনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য সরকারের দৃষ্টিআকর্ষন সহ অবিলম্বে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারপূর্বক সভা সমাবেশের আয়োজনের অধিকার ফিরিয়ে দিতে জোর দাবি জানাচ্ছি। এর আগে পীরগঞ্জ উপজেলায় একই কারনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, মো: আলম, যুগ্ম সম্পাদক আনসারুল হক, রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মানিক, রুহিয়া পশ্চিম বিএনপির সভাপতি সহিদুল হক, ঢোলারহাট বিএনপির সভাপতি ইসারুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন সহ বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা, কর্মী, সমর্থকবৃন্দ ও ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।