মঙ্গলবার , ১০ জানুয়ারি ২০২৩ | ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬.৯ রেকর্ড তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১০, ২০২৩ ১০:২৮ অপরাহ্ণ

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের এ জনপদ। সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ দুদিন ধরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, নতুন বছরের শুরুতেই ধরেই প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। সকাল থেকে কুয়াশা না থাকলেও কনকনে শীতে কাহিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনেও আগের মতো গরম নেই। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে।

এতে করে হাড়কাঁপানো শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।

চা-শ্রমিক বাদল, বাবু ও হায়াত জানান, কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে চা-বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।

পাথর শ্রমিক জমিরন, তাসলিমা ও রমিনাসহ কয়েকজন নারী শ্রমজীবি নারী জানান, আমরা আজানের পর পরই ঘুম থেকে উঠি। কদিন ধরে খুব ঠান্ডা। ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র সব বরফের মতো লাগে এবং হাতপা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ শেষ করে পেটের দায়ে পাথরের কাজে যেতে হচ্ছে।

এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। যা দ্বিতীয় দিনের মতো সারাদেশের সর্বনি¤œ। ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল।
এ তাপমাত্রায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। উত্তর-পূর্বকোণ থেকে ৩ নটিক্যাল গতিতে বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। #

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

কাহারোলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে সফল কৃষকেরা

হাবিপ্রবিতে মুজিব পরিবারের ম্যুরাল ও নামফলক মুছে দিলো শিক্ষার্থীরা

চিরিরবন্দরে কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে দূর্ভোগ

জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও সাংবাদিক আকতারুল আলম বুলু’র ইন্তেকাল

বীরগঞ্জ পৌরশহরে বেদে কন্যাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ মানুষ

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

রাণীশংকৈলে ফসলের জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

দিনাজপুর সদরে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনী মাঠে হইপ ইকবালুর রহিম

বীরগঞ্জ উপজেলার ২নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নে বিট পুলিশং এর উঠান বৈঠক

রাণীশংকৈলে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন