সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার কাজল লিনুস কস্তা বলেছেন, সন্তানের সুন্দর জীবনযাপনে বাবা-মায়ের যতœ ও পরিচর্যা অপরিহার্য। এ জন্য সন্তানদের সময় দেওয়া প্রয়োজন। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। সন্তানদের উৎসাহিত করুন, তারা যেন সত্য কথা বলে, সৎ পথে চলে। খেয়াল রাখতে হবে সন্তানরা যেন সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। সন্তানের সুশিক্ষা, নৈতিকতা, বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করার মানসিকতা, পরোপকারী মনোভাব, সমাজ সচেতনতা, দেশপ্রেমসহ প্রায় সব কিছুই নির্ভর করে একজন সচেতন অভিভাবকের উপর।
২৭ ফেব্রæয়ারী (সোমবার) সকাল সাড়ে ৯ টায় দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজ-এর ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার কাজল লিনুস কস্তা (সিএসসি) এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, কোন অভিভাবক আপনার সন্তানকে স্মার্টফোন হাতে দিবেন না। কারণ এখন প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মোবাইলে আসক্ত থাকে। দেখা যায় মোবাইলের কারণে অনেকে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ায় অমনোযোগী থাকে। এই কারণে যে সকল অভিভাবক আপনার সন্তানকে ফোন কিনে দিয়েছেন। আজ থেকে তাদের হাতে আর ফোন দিবেন না। তাহলে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে। আর যদি স্মার্টফোন আপনার সন্তানের হাতে দেন তাহলে তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত অন্ধকার।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজ-এর প্রাথমিক শাখার ইনচার্জ সিঃ বাস্কে সিআইসি, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবেদ আলী, ৫ম শ্রেণীর শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন, ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষিকা শিল্পী লাকড়াসহ অভিভাবকবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষিকা মিতালী জুলিয়ানা বিশ্বাস ও ৩য় শ্রেণীর শিক্ষিকা জয়শ্রী ঘটক।
এর আগে নার্সারী, শিশু, ১ম ও ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।