বিকাশ ঘোষ , বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার দলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে দলুয়া এলাকার মো. জিয়াউর রহমান ও মো. আকতারুল হোসেন জানান, দলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আতাউর রহমান বাবু, ৯ সদস্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সচিব ও কলেজ পরিদর্শক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ডিজি’র প্রতিনিধি দিনাজপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ সিন্ডিকেট তৈরী করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার নাম করে ৬ লাখ টাকার বিনিময় শাহজাহান কবিরকে অধ্যক্ষ। ৮ লাখ টাকার বিনিময় তাইজ উদ্দিন আহম্মেদকে সহকারী প্রধান শিক্ষক। ১৭ লাখে মাহফুজার রহমানকে অফিস সহকারী। ১৭ লাখ পরিশোধ আরও ২ লাখ দাবীতে জামায়াত সমর্থিত মৃত মনছুরের ছেলে মুত্তাসিমকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর। ৯ লাখ টাকায় দবির উদ্দিনের ছেলে সাঈদ আনোয়ার স্বাধীনকে গেটম্যান। ৮ লাখ টাকায় অশ্বিনাথ পিয়নের স্ত্রীকে আয়া এবং একই পদে দু’জনের নিকট আদায় ১৩ লাখ দোলারানী ও ১৪ লাখ ফাতেমা বেগম, জীববিজ্ঞান পদে সহ আহবানকৃত অন্যান্য পদে কোটি টাকার উর্ধে হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ দেয়ার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন গভর্নিং বডি’র অবৈধ সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান বাবু। ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে মেধা শুন্যদের নিয়োগ করা হলে সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য প্রতিহত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট লিখিত অভিযোগসহ মহামান্য হাইকোর্ট রিট নং- ১৫৬১২/২০২২ এবং দিনাজপুর সহকারী জজ আদালত মামলা নম্বর ৫২/২০২৩ অন্য দায়ের করি। মামলা চলমান এবং অন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। কিন্তু মামলা নিস্পত্তি না করে এবং আদালতের আদেশ অমান্য করে আবারও আগ্রহীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার জন্য নিজস্ব ক্যম্পাস বর্জন করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে আয়োজন করা হচ্ছে। যাহা বেআইনি, নীতিমালা পরিপন্থি। তাই বেআইনি কর্মকান্ড বন্ধের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জিয়াউর রহমান, তার সাথে ছিলেন আক্তারুল হোসেন।