আমেরিকার ইতিহাসে নজিরবিহীন, কাল দ্বিতীয় বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ আর মাত্র ৮ দিন। কিন্তু সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্যাপিটলে হামলার জেরে ইমপিচমেন্টের মুখে পড়ছেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হবে আমেরিকান কংগ্রেসে। ঘটনাক্রমে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির ৫ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে।
ফলে পাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব।
আমেরিকার সংবিধানের ২৫ নম্বর সংশোধনী অনুযায়ী কোনও প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে সরিয়ে দেয়া যায়। সেই সংশোধনী কার্যকর করে ট্রাম্পকে সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বুধবার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, ‘আমি মনে করি না, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশ ও গণতন্ত্রের পক্ষে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত’।
কিন্তু বিষয়টা সেখানেই থেমে থাকেনি। এর পর আইনসভায় একটি প্রস্তাব এনে ভোটাভুটি হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হবে কি না, তা নিয়েই ভোটাভুটি হয়।
তাতে ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোটের ফল ২২৩-২০৫। অর্থাৎ ২২৩ জন সংসদ সদস্য ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৯-এও এক বার ইমপিচমেন্টের মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ফের একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রেসিডেন্ট এক বারের মেয়াদ কালে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হচ্ছেন।
আর তার আগে রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের কয়েকজন সরাসরিই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
লিজ চেনি বলেন, ‘‘সংবিধান এবং জাতির উদ্দেশে শপথ নিয়ে এর আগে কখনও কোনও আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এ ভাবে প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেননি। ’’
অন্য রিপাবলিকান ডিক চেনি আবার সরাসরিই বলেছেন, ‘‘আমি প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্টের পক্ষেই ভোট দেব। ’’ এছাড়া জন কাকটো, অ্যাডাম কিনজিঙ্গার এবং ফ্রেড আপটনও একই সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন।