বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, প্রেস কাউন্সিল থেকে সাংবাদিকদের আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হবে। সেটাই হবে সাংবাদিকদের মূল পরিচয়পত্র। প্রকৃত সাংবাদিকদের পরিচয় উদ্ভাবন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি চলমান। মফস্বল সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরির জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। এ পর্যন্ত মাত্র ২৭টি জেলার সাংবাদিকদের আবেদন পেয়েছি। ডাটাবেইজ তৈরির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে বার কাউন্সিলরের মত আমরা প্রকৃত সাংবাদিকদের সনদ দেব। সনদধারীরাই কেবল নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ন্য‚নতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধরা হয়েছে স্নাতক ডিগ্রী পাশ। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এই শর্ত কিছুটা শিথিল থাকবে।
সোমবার দিনাজপুর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম আরও বলেন, জেলা থেকে নাম পাঠালেই সাংবাদিক হওয়া যাবে না। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। স্থানীয় পত্রিকার জন্য সম্পাদকরা তালিকা দেবেন। সাংবাদিকদের স্বার্থ স্বংরক্ষণে প্রেসকাউন্সিল কাজ করছে। এখন পর্যন্ত অনলাইন মিডিয়া রিকগনাইজড নয়। শুধু একটি মোবাইল থাকলেই সে কিন্তু সাংবাদিক নয়। সকল সাংবাদিকদের রেগুলার ফর্মে নিয়ে আনা হবে।
এসময় সভায় সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, সাংবাদিকদের প্রধান সমস্যা হলো পরিচয় সংকট, আইডেন্টিটি ক্রাইসিস। সাংবাদিকদের পরিচয়টা স্টাবলিশ করাটা খুব জরুরি। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এটা নিয়ে কাজ করছে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার রুস্তম আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম। সভায় দিনাজপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।