পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকায় পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি গণমাধ্যমকর্মী রনি মিয়াজী। তবে এই বিয়েতে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক অনন্য রেকর্ড। বর ও কনের সম্মতিতে এই বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারিত হয় মাত্র এক টাকা। মোহরানা বাবদ এক টাকার একটি কাগুজে নোট নগদে বুঝে দেয়ার পর কাবিননামায় স্বাক্ষর করেন বর ও কনে। গত শনিবার দিবাগত রাতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকায় কনের বাড়িতে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
গণমাধ্যমকর্মী রনি মিয়াজী তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ভজনপুর বাসামোড় এলাকার আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন। আর কনে ফাতেমা তুজ জহুরা একই উপজেলার আজিজ নগর এলাকার ফরহাদ হোসেনের মেয়ে। তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল এন্ড হাসপাতাল থেকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং শেষ করে বর্তমানে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সাংবাদিক রনি মিয়াজী বলেন, সমাজিক ও মানবিক কাজ করা থেকেই আমরা সাংবাদিকতা শুরু। আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অনেক নারীকে শুধু যৌতুকের জন্য স্বামীর হাতে নির্যাতন ও জীবন দিতে দেখেছি। পাশাপাশি আমি যৌতুকসহ সমাজিক অবক্ষয় রোধে একসময় শিক্ষার্থীদের শপথসহ লাল কার্ড দেখিয়ে সচেতন করেছি। তাই ইচ্ছে ছিল আমি বিয়ে করলে যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করবো। আমরা মানুষকে সচেতন ও অনুপ্রাণিত করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করি। একই কথা বলেন নববধু ফাতেমা তুজ জহুরা। তিনি বলেন, সমাজে দেনমোহর কম বেশী দেয়া নিয়ে ইদানিং বর-কনে পক্ষে অনেক রকমের কথা হয়। পাশাপাশি সমাজে নারীরা আজ যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হচ্ছে। অনেক নারী জীবনও দিয়েছে। আমরা দুজনে যেহেতু মানুষের সেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি তাই আমরা দ’ুজনে এমন উদ্যাগ নিয়েছি।