জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনের মরদেহের প্রতি সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অধিকার বঞ্চিত নৃতাত্মিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিবেদিত এই নেতা শনিবার রাতে তাঁর পার্বতীপুরের বারকোনা গ্রামের বাসায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৫। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা রকম জটিল অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, একপুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও পার্বতীপুর উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন, প্রতিষ্টান ও ব্যক্তিবর্গ তাঁর প্রতি পুস্প শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, রাজশাহী সহ বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর প্রতি। বেসরকারি সংস্থা সিডিএর নির্বাহী পরিচালক শাহ মোবিন জিন্নাহ, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র-জিবিকে’র নির্বাহী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, বাগদা আন্দোলনের নেতা ফিলিমন বাস্কেসহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব আদিবাসী নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হেকস/ইপারের পক্ষে আজহারুল আজাদ জুয়েল, ইএসডিওর পক্ষে আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেসী প্লাটফর্ম দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আলবিনুস টুডু পার্বতীপুরে গিয়ে মরহুমের লাশে পুস্পশ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্রনাথ সরেনের মৃত্যুতে শোক বার্তা দিয়েছেন। হেকস/ইপারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোরা চৌধুরী, প্রোগ্রাম কর্মকর্তা সাইবুন নেছা, অ্যাডভোকেসী অফিসার পাপন কুমার সরকার, অ্যাডভোকেসী প্লাটফর্ম দিনাজপুর জেলা কমিটির সভাপতি চিত্ত ঘোষ পৃথক পৃথক শোকবার্তায় রবীন্দ্রনাথ সেেনর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁর মৃত্রুতে পিছিয়ে পড়া জনগোগোষ্ঠীর পক্ষে যে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে উঠেছিল তা ক্ষতিগ্রস্থ হলো।