স্বামী সঞ্জিত চন্দ্র রায় হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক কঠোর শাস্তির দাবীতে দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন করলেন অসহায় স্ত্রী প্রিয়াংকা রানী।
৯ জুন সকালে দিনাজপুর প্্েরসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত দাবী জানান ফুলবাড়ী উপজেলার দধিপুর গ্রামের প্রিয়াংকা রানী পিংকি। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১১এপ্রিল সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে সঞ্জিত রায় ঈদ মেলার নিজ দোকানে চার্জার ভ্যানযোগে যাওয়ার পথে উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দুধিপুর ক্যানেলের ব্রীজের উপর একটি মোটরসাইেেকলে সামান্য ঘষা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন যুবক সঞ্জিতকে আটক করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথারী কিলঘুষি,লাথিসহ প্রচন্ডমারধোর করে ব্রীজের নীচে গভীর ক্যানেলের পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। নির্মম এই ঘটনার পর হত্যাকারী যুবকেরা ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থায় অচেতন সঞ্জিত রায়কে উদ্ধার করে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এব্যাপারে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ মোটরসাইলের সুত্র ধরে ওমর ফারুক এবং লুৎফর রহমান নামে ২ জন যুবককে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। বৃদ্ধ পিতামাতা ও ৬ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সন্তান নিয়ে হতদরিদ্র পরিবারে সঞ্জিত চন্দ্র রায়ই ছিলেন আমাদের জীবন ও জীবিকানির্বাহের একমাত্র ভরসা। তাকে হারিয়ে আজ আমাদের সবাইকে চরম অসহায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। সামান্য একটু ভুলের জন্য যারা আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই এবং অপরাধিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবী করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক,বীনারানী রায়,তপন চন্দ্র রায় ও শিশির রায় রনি প্রমুখ।