ঈদের দিন থেকেই নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ শহর ছেড়ে একটু দুরে পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যায়। তবে জাতীয় উদ্যান রামসাগর, বীরগঞ্জ শালবন ছাড়া বেসরকারী বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেই বেশী ভীড় লক্ষনীয়। তবে আকাশ মেঘলা ও মাঝে বৃষ্টিপাতে বিঘœ ঘটাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
শহরের যান্ত্রিকতা আর জীবনের এক ঘেয়েমি দুর করতে কোলাহল মুক্ত নিরিবিলি সময় কাটাতে সব বয়সের মানুষ ছুটছে দিনাজপুরের পূনর্ভবা নদীতে নির্মিত গৌরীপুর সেতুসহ সুইচগেইট এলাকায়।
এছাড়াও বিনোদন প্রেমী মানুষের একটু বিনোদনের চাহিদা মেটাতে সবার দৃষ্টি কেড়েছে দিনাজপুরের বড়মাঠ এলাকা, শিশু পার্ক, সিটি পার্ক, দাদুবাড়ী, মোহনপুরের রাবার ড্যাম, বিরলের জীবনমহল, নবাবগঞ্জের মায়াবী স্বপ্নময় ভুবন স্বপ্নপুরী, শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান এবং বনের মাঝে আশুড়ার বিলের উপর আঁকাবাঁকা দৃষ্টি নন্দন শেখ ফজিলাতুন্নেছা কাঠের সেতু, বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।
সিটি পার্কের দেয়ালে ও বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মুর্যানল ছাড়াও রয়েছে বিভিন্নপশুপাখীর অবিকল ভাস্কর্য, ইলেকট্রিক দোলনা, নাগরদোলা, ট্রেন,এ্যাকুরিয়াম।
দর্শনার্থী আরমান হোসেন চেীধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দিনাজপুর সদরের আস্করপুর ইউপির এলাকায় পূনর্ভবা নদীর উপর নির্মানাধীন গৌরীপুর সেতুসহ সুইচগেইটটি বিরল এবং সদর উপজেলার সেতুবন্ধন। কৃষিকাজে প্রকল্পটি পূনর্ভবা পাড় এলাকায় খরা মৌসুমের সেচ কাজে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। আকাশে মেঘেদের রঙিন প্রভা, নদীর স্বচ্ছ জলে প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি। এখানে যেতেও রাস্তার দু’পাশে বাঁশ ঝাড়ের সবুজ শ্যামলতা। এ কারণেই সবাই ভীড় করে গৌরিপুরে। মুগ্ধ প্রকৃতির সান্নিধ্যে তাই তো ছুটে যাওয়া। এটিই এখন মানুষের বিকল্প বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।