দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ক্রিকেট খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে বন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ ও র্যাব-১০।
গত ১৭মে বিকাল অনুমান ৪টায় দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ক্রিকেট খেলার কথা বলে ভিকটিম মোঃ সাকিব হাসান (১৮)কে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু মোঃ মিরাজ হোসেন (১৯)। দিন শেষে রাত হয়ে গেলেও মোঃ সাকিব হাসান বাড়িতে ফিরে না আসায় ভিকটিমের পিতা মোঃ মোমিনুল ইসলাম তার বন্ধু ও নিজ আতœীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ খবর নেন। খোঁজ খবর করার একপর্যায়ে গত ১৯ মে ভোর ৪টার দিকে জনৈক গ্রাম পুলিশ সদস্য ভিকটিমের পিতাকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, জনৈক লাইছুর রহমান এর বসতবাড়ির ভিতরে তার ছেলে মোঃ মিরাজ হোসেন এর শয়ন কক্ষে খাটের উপর একটি লাশ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের পিতা ও বড় ভাই তাৎক্ষনিক ভিকটিমের বন্ধু মোঃ মিরাজ হোসেনের বাড়িতে যান এবং ভিকটিম মোঃ সাকিব হোসেনের মরদেহ শনাক্ত করেন। কিন্তু ভিকটিমের বন্ধু মিরাজকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা মোঃ মোমিনুল ইসলাম (৬১) বাদী হয়ে গত ১৯ মে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানায় বন্ধু মোঃ মিরাজ হোসেনকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৯/০৫/২০২৪, ধারা-২০১/৩০২ /৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। ঘটনার পর পরই আসামীগণ বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করে। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৩,রংপুর গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে, এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর ও র্যাব-১০ এর একটি যৌথ দল ৮জুলাই সকাল পৌনে ১২টার দিকে ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাধীন শ্যামপুর বড়ইতলা রেল স্টেশনের সামনে হতে উক্ত মামলার প্রধান আসামী মোঃ মিরাজ হোসেন (১৯), পিতা-মোঃ লাইছুর রহমান, থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ মিরাজ হোসেন (১৯) উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ দিনাজপুরের অধিনায়কের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি সালমান নূর আলম।