শনিবার , ২৭ জুলাই ২০২৪ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানায় মায়াবী চিত্রা হরিনের দল দর্শনার্থীদের কাছে টানছে

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুলাই ২৭, ২০২৪ ১০:২৮ অপরাহ্ণ

মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি দিনাজপুরের রামসাগর যা সারাবাংলার এক সৌন্দর্য মন্ডিত ঐতিহাসিক দীঘি। প্রাকৃতিক অপরূপ নয়নাভিরাম দীঘিটি পর্যটকদের ভাল লাগার পরশে মনকে ছুয়ে যায়। এরসাথে বেশী পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ছে রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিনগুলো।
কিন্তু কোটা আন্দোলনের সময় এবং কারফিউ চলাকালীন সময়ে ঐতিহাসিক রামসাগরের এই মিনি চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী শুন্যে নেমে আসে। তবে গতকাল বুধবার দিনাজপুরে কারফিউ সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল হওয়ায় আবারও দর্শক-পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ফিরেছে সকল বয়সের নারী পুরুষের সমাগম।
এ বছরে এপর্যন্ত দিনাজপুরের মায়াবী চিত্রা হরিনের সংসারে এসেছে আরও ৯টি নতুন অতিথি। এনিয়ে এখানে সংখ্যা দাড়ালো ৯৩টি মায়াবী চিত্রা হরিন। নতুন অতিথি শাবকদের নিয়ে মিষ্টি রোদের আলোয় বসে থাকে মা হরিনগুলো। এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে। বাদাম বা খাওয়ার কিছু নিয়ে ডাকলে অনেক চিত্রা হরিন ব্যারিকেড ঝালির কাছে ছুটে আসছে। এসময় নতুন অতিথি শাবকগুলো মা-কে খুজে ফিরে। তবে কেউ শব্দ করলে তারা আবার পালিয়েও যাচ্ছে।
উপমহাদেশীয় হরিণ প্রজাতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন চিত্রা হরিণ। চিত্রা বা চিত্রল থেকে এ হরিণের নামটি এসেছে। যার অর্থ ফোঁটা বা ছোপযুক্ত। চিত্রা হরিণের দেহ লালচে বাদামি লোমযুক্ত চামড়া দ্বারা আবৃত যাতে সাদা সাদা ফোঁটা দেখা যায়। গলার নিচে, পেট, লেজের নিচে ও চার পায়ের ভেতরের চামড়ার বর্ণ সাদা। হাঁটু থেকে পায়ের খুর অবধি হালকা সাদা বা ধূসর রং রয়েছে। এদের রেখা পিঠ দিয়ে লেজ পর্যন্ত চলে গিয়েছে।
মোসাদ্দেক হোসেন, আসাদুজ্জামান লিটনসহ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান,ঐতিহাসিক এই রামসাগরের জলরাশি জেলা প্রশাসন এবং বাকী অংশ বনবিভাগ দেখভাল করে। এতে সেবার মান আজও বাড়েনি। অথচ বনবিভাগকে জলরাশিসহ পুরোটাই দিলে এখানে ঝুলন্ত সেতু, বিভিন্ন রাইডসহ পর্যটকদের আর্কষনীয় করতে আধুনিকায়তনে পদক্ষেপ নিতে পারে। আর এসব আধুনিকায়ন করা গেলে এটিই হতে পারে উত্তরাঞ্চলের পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান। পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও বাড়বে।
চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার শাপলা পাতা। রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে। কিন্তু দিঘিতে মাছ শিকার, ইঞ্জিন নৌকা চালানোর কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। তবে রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করা গেলেই খাবারের চাহিদা পুরন করা সম্ভব বলে জানান হরিনগুলোর তদারককারী বাবুল।
দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত¡াবধায়ক ও বনবীট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে ছয়টি চিত্রা হরিণ আনা হয়। বংশবিস্তারের পর এখন এদের সংখ্যা ৯৩টি হয়। দিন দিন এখানে হরিণের সংখ্যা বেড়েছে। মিনি চিড়িয়াখানায় দৃষ্টিনন্দন চিত্রা হরিন ছাড়াও অজগড় সাপ, পাখি, বানরসহ কিছু প্রাণী রয়েছে যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুরে বিক্ষোভ মিছিলসহ ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘষর্, হুইপের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, আহত-৫০

খানসামায় নিঃসন্তান দম্পতিকে বাড়ি করে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য

রাণীশংকৈলে ৪টি রিক্সা ভ্যানে ৪৮ বস্তা সার আটকসহ জরিমানা

বোদায় প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

বোদায় প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ৪০তম জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগতার উদ্বোধন

বোচাগঞ্জে মসজিদ নির্মাণ ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

ঠাকুরগাঁওয়ে গণপ্রকৌশল দিবস পালিত । মোঃ মজিবর রহমান শেখ,, ঠাকুরগাঁও জেলা

বীরগঞ্জে চিকিৎসা শেষে ৮ শকুন অবমুক্ত

বীরগঞ্জে দিনব্যাপী জনসচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সারদা সংঘ’র উদ্যোগে দরিদ্র নারায়নের মধ্যে বস্ত্র বিতরন