বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত কবরস্থান, শ্মশ্বান ঘাট দখলের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বলদিয়া পাড়ায় কবরস্থান ও শ্মশ্বানের জমি অবৈধভাবে নিয়ম বহির্ভূত বন্দোবস্ত দেয়ায় জনমনে চরম ক্ষোভ! চার গ্রামবাসীর মধ্যে অসন্তোষ ও উত্তেজনা।
যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের সম্ভাবনা, হতে পারে প্রাণহানী সহ জানমালের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি।
গণঅভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিন গিয়ে জানা যায় ওই এলাকায় ২৫৩ দাগের জমি মুসলিম জনগণের কবরস্থান এবং ২৬২ দাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশ্বান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল।
বর্তমানে শ্মশ্বানের কোন চিহ্ন পাওয়া না গেলেও রাস্তায় একপাশে কবর ও হাড়গোড় রয়েছে দৃশ্যমান।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন সহ স্থানীয় নবীন প্রবীণরা সবাই জানায় রাস্তায় একপাশে তথা ২৫৩ দাগে কবরস্থান এবং অন্য পাশে ২৬২ দাগে শ্মশ্বান ছিল।
গোরস্থান দৃশ্যমান থাকলেও শ্মশ্বানঘাট বিলীন করে সেখানে চাষাবাদ করছে একশ্রেণির ভুমিদস্যু টাউট বাটপার।
টাউটেরা উপজেলা ভুমি প্রশাসনের যোগসাজশে তথ্য গোপন করে অবৈধ ভাবে গোরস্থান ও শ্মশ্বানের জমি জনৈক প্রতিবন্ধী মাজেদার নামে ২৫৩ দাগে ৩৫ শতাংশ এবং ২৬২ দাগে ১৫ শতাংশ মোট ৫০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত কেস নম্বর ×।।/১৪-২০০৬-০৭ এবং ৩৫০৬ নম্বর কবুলিয়ত দলিল মুলে প্রদান করা হয়।
কিন্তু দীর্ঘদিন গোপন রেখে সম্প্রতি প্রচার ও প্রকাশ পেলে এলাকার চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ওই টাউট পরিবার তথা ফরমান ও এরফান আলীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবী করে।
কাগজে কলমে জমি থাকলেও স্থানীয় জনগনের প্রবল বাধার কারনে আজ অবধি জমি দখল নিতে পারে নাই, কথিত জমি মালিক।
অনেকে জানান শত বছরের কবরস্থান কিভাবে ১৭/১৮ বছর পুর্বে পত্তন নিয়ে গোপন রেখেছে, আমাদের বোধগম্য নয় এবং এটি আইন বহির্ভূত, বেআইনি।
তাছাড়া কবরস্থান নিঃসন্দেহে একটি অতি স্পর্শকাতর বিষয়, এ ঘটনায় ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকলে তিব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যপারে বন্দোবস্ত গ্রহিতা অন্ধ ও স্বামী পরিত্যাক্তা মাজেদা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার পক্ষে ওয়ারিশরা আদালতে মামলা করিয়েছে, আমি জানি না, দেখতেও পাই না, কোন জমি আমার নামে পত্তন করা হয়েছে।
মরার পর সবাইকে কবরে যেতে হবে, কবরস্থানের জমি আমার দরকার নাই।
সরকার আমাকে নিস্কন্টক জমি না দিয়ে এ ধরনের বিতর্কিত জমি পত্তন দিয়ে সমাজের চোখে দুসমন বানিয়েছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপংকর বর্মনের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখে শুনে যতদুর সম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।