পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনে ১৮ বছরের হিমেলের মাথায় সাড়ে তিনশত ছোট পিলেট বুলেট লেগেছিল। সে সময় পঞ্চগড়ে প্রকোপ কম থাকলেও ঢাকা বা বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে মানুষের মুখের সামনে গুলি করেছে আর পেছন দিয়ে বের হয়ে গেছে। তিনি গতকাল রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনে এরকম কারো হাত নেই, কারো পা নেই, কারো, চোখ নেই, কেউ পৃথিবীর আলো দেখবেনা, আর কোনদিন হাঁটতে পারবে না। ছাত্র-জনতা বিপ্লবে শহীদের সংখ্যা দুই হাজারের বেশী। আহত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার। আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৬ বছরের আমলের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমরা কথা বলতে সংকোচ বোধ করলেও এখন নতুন সময়ে এসেছি। তিনি আরো বলেন, একটা দেশে কেউ যদি মনে করে সে জনগণের সরকার। সে কিন্তু ক্ষমতাটা ধরে রাখার জন্য এই অত্যাচারটা করতে পারেনা। এটা করেছে কেন কারণ তার কাছে জনগণের চেয়ে বা দেশের চেয়ে ক্ষমতার মূল্যটা অনেক বেশি। সেই জায়গায় আগামীতে এখন যা হবার হয়েছে ২৪’র অভ্যুত্থান হয়েছে। আগামীর যে দিন এই দিনে কেউ যদি দেখেন যে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, কোন জায়গায় অন্যায় করছে, অনিয়ম করছে, দুর্নীতি করছে, সুদ-ঘুষ বা মাদকের সাথে জড়িত কিংবা কোন জায়গায় যদি দেখেন যারাই এই কাজগুলো করেছিল তাদেরকে আবার প্রমোট করা হচ্ছে। আপনাদের কাছে জাস্ট একটা ম্যাসেজ এই মানুষ গুলোর যদি আবার পার পেয়ে যায়। আবার এই কাজগুলো করছে। আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করলেন না। এই প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নামলেন না। আপনাদের যদি সোশ্যাল মিডিয়া থাকে সেখানে একটি গঠনমুলক লেখা লেখে প্রতিবাদ করা যায়।
পঞ্চগড় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আনাম মো আফতাবুর রহমান হেলালীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, সহ সমন্বয়ক খোরশেদ মাহমুদ, আতিকুর রহমান আতিক সহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।