রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার পৌরশহরের বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত ঘটনায় দফায় দফায় ঘুরপাক খাচ্ছে একটি বিষয়। সে জমিতে কখনো দেখাযায় উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে,কখনো দেখা যায় সেনাবাহিনী,পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মিদের।
ফলে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এডিসির রোষানোলে পড়েছে সেনা কর্মকর্তার পরিবারটি। বর্তমানে সেনা কর্মকর্তার শয়ন ঘরের জানালা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করেছে তারা। আকাশের বৃষ্টি হলে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থাও নেই সেখানে।
সেনাকর্মকর্তার পিতা ইউনুস আলী জানায়, পৌর শহরের ডিগ্রি কলেজের পিছনে ১৯৯০ সাল থেকে ৬ শতক জমির উপর বসবাস করে আসছে সিলেট পেরা-কমান্ডো-২ সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন তানজিমুল ইসলামের পরিবার। হঠাৎ ক্ষমতার পালা বদললের পর কক্সবাজারে এডিসি মারুফ, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র পরিচয়দানকারিদের সহায়তায় চোখের পলকে প্রাচীর নির্মান করে বেকায়দায় ফেলেছেন তাদের।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সেনাকর্মকর্তার বাবা ইউনুস আলীর সাথে, তিনি বলেন আমার বসবাসকৃত ৬ শতক জমি বুঝে না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে দলবল নিয়ে এসে জানালার পাশে প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে ঘরের জানালাগুলো খোলা যাচ্ছেনা। এমনকি টিনের ছাউনি ঘরগুলোর বৃষ্ঠির পানি ঘরে ঢুকে পড়বে। বর্তমানে ভয়ে ভয়ে বাড়িতে রাত্রিযাপন করছি।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (এডিসি) আল মারুফ মুঠোফোনে বলেন,আমরা ১৯৮০ সালে ১২ শতক জমি ক্রয়করি, তিনি ১৯৯০ সালে ক্রয় করেছে। তাছাড়া আমার ৩শতক জমি এখনো কম রয়েছে ফলে সেখানকার ইউএনও সাহেবকে আমি অভিযোগ দিয়ে ন্যায় বিচার পাইনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সাথে ১৯ জানুয়ারী মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।