রবিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম বাড়তি, ধান পাচ্ছে না বীরগঞ্জের খাদ্য গুদাম

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ১১:৩৩ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: চলতি আমন মৌসুমের প্রথম দুই মাসে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত রবিবার বিকেল পর্যন্ত বীরগঞ্জ উপজেলার ২ খাদ্যগুদামে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি।

ধান-চাল সংগ্রহের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, নির্ধারিত চার মাস সময়ের মধ্যে দুই মাস শেষ হয়েছে। সামনে আরো দুই মাস বাকি রয়েছে। এ ছাড়া সরকারনির্ধারিত মূল্য থেকে খোলাবাজারে দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছে।

জানা যায়, আমন মৌসুমে এবার বীরগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে দুই হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। গেল বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। চলতি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ও বাবু নিমাই জানান, প্রায় শতাধিক মিলার চুক্তিবদ্ধ থাকলেও এখনো লক্ষ্যমাত্রার ১৫% ভাগ সংগ্রহ হয় নি, অটো রাইস মিলগুলো অল্পকিছু সরবরাহ করলেও হাস্কিং মিলরেরা করছেন না।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিলার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ধান সংগ্রহের সময় আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের নিচে থাকার বাধ্যবাধকতা করে দেওয়া হয়েছে। এই বাধ্যবাধকতা হাটবাজার বা আড়তে মানছে না। ব্যাপারীরা অনেক সময় বাড়ি থেকে ওজন করে নগদ টাকা দিয়ে ধান কিনে নিয়ে যান। হাট-বাজার বা আড়তে ধান বিক্রি করলে নগদ টাকা পাওয়া যায়। সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়।’

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সরকার এই মৌসুমে প্রতি মণ ধানের দাম নির্ধারণ করেছে এক হাজার ৩২০ টাকা। এখন পর্যন্ত এক ছোটাক ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন,
অন্যদিকে খোলাবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে নির্ধারিত সময়ে গুদামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও