মাঘের হাড়কাঁপানো শীতের রাতে ভাপা, চিতই কিংবা পাটিসাপটার মতো পিঠার কথা মনে এলেই যেন বাঙালির মন উৎফুল্লে ভরে ওঠে। এই হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে এবং পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতেই ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জমজমাট পিঠা উৎসব।
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে আয়োজিত পিঠা উৎসবে ৩০ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তাদের নিজস্ব সৃজনশীলতায় তৈরি পিঠার পসরা নিয়ে হাজির হন। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, নকশী পিঠা, বিবিয়ানা, মালপোয়া, আর নানা বাহারি পিঠার সম্ভার দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে ওঠেন। উৎসবটি বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এবং তীব্র শীত উপেক্ষা করেও নানান বয়সের নারী-শিশু ও পুরুষেরা উৎসবস্থলে ভিড় করছেন।
উৎসবের মূল আকর্ষণ উদ্যোক্তাদের পরিশ্রম ও সৃজনশীলতা। ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা এখানে এসে তাদের পছন্দের পিঠার স্বাদ নেন এবং নতুন ধরনের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হন।
তীব্র শীত উপেক্ষা করেও রাত প্রায় বারোটা পর্যন্ত চলা এই পিঠা উৎসব নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যে। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষদের জন্য এটি ছিল শীতকালীন উৎসবের এক ব্যতিক্রমী উদযাপন।পিঠা উৎসব উপলক্ষে সেখানে পরিবেশন করা হচ্ছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।