যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল ভূগর্ভস্থ পাথর খনি দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথরখনির উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত থেকেই যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দেয় খনিতে। এতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে ইতোমধ্যেই খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু করতে প্রকৌশলীরা কাজ শুরু করেছেন। দ্রæত পুনরায় উৎপাদন চালু করতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) প্রকৌশলী ডি এম জোবায়েদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রথম শিফট (সকাল ৭টা) থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। তবে খনি থেকে পাথর উত্তোলন চালু করতে ইতোমধ্যেই প্রকৌশলীরা কাজ শুরু করেছেন এবং যত দ্রæত সম্ভব চালুর চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
জানা যায়, দেশের একমাত্র পাথরখনি দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে ২০০৭ সালের ২৫ মে। প্রথম অবস্থায় খনি থেকে দৈনিক ১ হাজার ৫শ থেকে ১ হাজার ৮শ’ টন পাথর উত্তোলন হলেও পরে তা নেমে আসে মাত্র ৫শ টনে। উৎপাদনে যাওয়ার পর থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় শতকোটি টাকার ওপরে। এমন অবস্থায় উৎপাদন বাড়াতে ২০১৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে ৯২ লাখ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের বিপরীতে ১৭১.৮৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেলারুশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম-জিটিসি’কে। এরপর থেকেই খনিটি লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। সরকার লাভের মুখ দেখায় পাথর উত্তোলনের জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির সঙ্গে ছয় বছরের জন্য পুনরায় চুক্তি করে খনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খনি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ইতিপূর্বেও ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে খনিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে একমাস পর খনিটি উৎপাদনে ফিরে।
শ্রমিকরা জানায়, হঠাৎ করে ভুগর্ভের পাথর তোলা স্কিপ্ট মেশিনের গিয়ার বক্সের বিয়ারিং ভেঙে যায়। এতে করে পাথর উত্তলন বন্ধ হয়ে যায়।