হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) তাজ উদ্দীন আহমদ হলে মেধা ও জ্যৈষ্ঠ তার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হলে সিট বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা, উপস্থিত ছিলেন প্রোভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, হল সুপার কাউন্সিল এর আহবায়ক প্রফেসর ড. আবু সাঈদ মন্ডল, তাজউদ্দীন আহমদ হলের হল সুপার প্রফেসর ড. মো. শোয়াইবুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো.শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান সহ প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.এনাম উল্যা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী এভাবে নিয়ম মেনে সিট বরাদ্দ সুন্দর একটি উদ্যোগ। এই নিয়ম অনুযায়ী আস্তে আস্তে সকল হলে সিট বরাদ্দ দিলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, হলগুলো তোমাদের জন্যই, এখানে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই মিলে মিশে থাকবে। একটা হল কোন নির্দিষ্ট গ্রæপের বা এরিয়ার ছাত্রদের জন্য নয়, এখানে সবাই মিলে সৌহার্দ্যপ‚র্ণ পরিবেশে থাকতে হবে। জোর যার মল্লুক তার, এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আন্দোলনের সহযোদ্ধা তোমরাই। এই আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাঁরা তোমাদেরই বন্ধু বান্ধবী। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁদের এই স্প্রিট টাকে সব সময় ধারণ করতে হবে এবং মেধা, জ্যৈষ্ঠতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাজউদ্দীন আহমদ হলের হল সুপার প্রফেসর ড. শোয়াইবুর রহমান বলেন, শুরুতেই আমরা হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আবাসিক করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আবাসিক করার কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এবং আসন ফাকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে আমরা মেধা ও জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ প্রদানের লক্ষ্যে একটি সার্কুলার প্রকাশ করি। আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই বাছাই করে সিট বরাদ্দ প্রদান করা হয়।