বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বেড়েছে ফুলের চাহিদা ও বিক্রি। তবে বিক্রেতারা জানালেন, এখন পর্যন্ত চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না।
পহেলা ফালগুন, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে উপজেলা সদরে বিক্রি বেড়েছে। বেড়ে ফুল ব্যবসায়ীরা এখন স্বস্ত সময় পার করছেন। ব্যবসায়ীরা ফুলের আইটেম ও মজুদ বৃদ্ধি করেছে। বেড়েছে ফুলের দোকান। ফুল ব্যবসায়ীরা আশা করছে কয়েকটি দিবস ও শহীদ দিবস কে কেন্দ্র করে তাদের বেচাকেনা ভাল হবে। গেল বছরের তুলনায় ফুলের দাম কমলেও লাভবান হওয়ার আশা করছেন বিক্রেতারা। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক থাকলে ফুলের বাজারও স্থিতিশীল থাকতো বলে মত পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে জানা গেছে,বীরগঞ্জ পৌর শহরে ২/৩ টি ফুলের দোকান আছে। এই দোকানগুলো বীরগঞ্জ থানা মার্কেটের সামনে প্রধান রাস্তায় এবং সেতাবগঞ্জ রোডে অবস্থিত। সারা বছর এখানে বিভিন্ন বিভিন্ন প্রকারের ফুল ও ফুলের মালা পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও শখের বসে ব্যক্তি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনাচ্য সংগঠন ফুল কিনতে এখানেই আসেন সবাই। তাই বিভিন্ন দিবসে ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এই চাহিদা মেটাতে বীরগঞ্জের ফুল ব্যবসায়ীরা ফুলের মজুদ বৃদ্ধি করেছে। এই উপলক্ষে ফুলের দোকানগুলোতে চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফুলের দোকানগুলিতে এখন উপচেপড়া ভিড়। এইসব ফুলের দোকানে বিভিন্ন গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, বেলি, জবা, সূর্যমুখি, ডালিয়া, হাসনাহেনা, চন্দ্রমল্লিকা, টগরসহ নানা জাতের ফুল পাওয়া যায়। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ফুল আসে। উপজেলা সদর সেতাবগঞ্জ রোডের শিমূল ফুল ঘর এর ব্যবসায়ী শিমূল জানান, আমাদের দোকানে সারা বছরই ফুলের চাহিদা থাকে, তবে এই তিনটি দিবসকে ঘিরে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এবছর ব্যবসা মন্দা চলছে। গত বছরের তুলনায় এবছর বেচাকেনা খুবই কম। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফালগুন উপলক্ষে গোলাপ ফুলের চাহিদা বেড়েছে। আকারভেদে প্রতি গোলাপ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
শহীদ দিবসসহ কয়েকটি দিবস কে সামনে রেখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীকে পুস্পস্তবক অর্ডার দিতে দেখা গেল। ফুল কিনতে আসা নার্গিস আক্তার নামে এক গৃহীনি জানান, ‘পহেলা ফালগুনকে সামনে রেখে ফুল কিনলাম। আমার বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবো। পরিবারের সদস্যদের অন্য কয়েকটি ফুল কিনলাম। এবারে ফুলের দাম বেশি।