প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদ ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দিনাজপুরে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
রোববার আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের আয়োজনে কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে কলেজ চত্বরে এ পুর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করে। বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ তহিদুল ইসলাম।
পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিকালে অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসন ক্যাডারদের কারনে সমাজে আমাদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। নিয়োগ থেকে শুরু করে আমরা সকল ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার। প্রশাসন ক্যাডাররা আমাদের নিয়ন্ত্রন করে। কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রিত কেন হবো?
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা মন্ত্রনালয় সকল দিক থেকেই শিক্ষক সমাজ বঞ্চিত। জাতীয় পর্যায়ে আমরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখি। আমরা সত্যিকারের মানুষ গড়ি, বিভিন্ন সময়ের নির্বাচনে শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালন করে। অথচ এই শিক্ষকদের মধ্যথেকে যারা প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকেন, তাদের ব্যবহার করে অসৎ কাজ করেন তারা। আমার বিশ্বাস বর্তমান সরকার এগুলো নজরে নিবে, আমাদের স্বপক্ষে অর্থাৎ দেশের স্বার্থে তারা আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন করবে,এই বিশ্বাস আমাদের আছে। বিজয় আমাদের নিশ্চিত হবে।
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক নূর-এ-আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক (ইনসিটু) প্রফেসর মোঃ আবেদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মানিক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক (সংযুক্ত) মোঃ জহরুল হক, সহকারী অধ্যাপক মোঃ তারকিুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (ইনসিটু), ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (ইনসিটু) মোসাঃ ফরিদা ইয়াসমিন, সহযোগী অধ্যাপক (ইনসিটু) দীনা ওয়াজিফা করিম সহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।