চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বিদ্যালয়ের দুইটি শ্রেণিকক্ষে আলু মজুদ করে রেখেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বসার জায়গার অভাবে ক্লাস না করেই বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।এ ঘটনাটি উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের উত্তর নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে। অবশেষে ওই আলু সরানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির সময়ে তোফাজ্জল হোসেন শাহ নামে একজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষ দুইটি তালাবদ্ধ করে মেঝেজুড়ে আলু রেখেছেন। বারান্দাতেও রাখা হয়েছে বস্তাভর্তি আলু। শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চগুলো একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে কক্ষগুলো ক্লাসের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছুটি শেষে বিদ্যালয় খোলার পরেও আলুগুলো না সরানোয় নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বসতে না পেরে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ঈদের ছুটি শেষে ক্লাস করতে এসেও শুধুমাত্র হাজিরা দিয়েই বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমনিতেই আমরা পাঠ্যবই বিলম্বে পেয়েছি। এখন শ্রেণিকক্ষের এই অবস্থায় আমাদের লেখাপড়ায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটছে।
অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন শাহ আলু রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় আমি ওই দুই রুমে আলু রেখেছিলাম। দ্রæত আলু সরানোর ব্যবস্থা করতেছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মহসিন আলী বলেন, স্কুল বন্ধের সময় তিনি শ্রেণিকক্ষে আলু রেখেছেন। তাঁকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও তিনি আলুগুলো সরিয়ে নেননি। আবারও অনুরোধ করবো, তাঁতেও কাজ না হলে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করাবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক জানান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই আলু অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং কুধকারেই সেই ঘর থেকে আলু সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সমস্যা দুর হয়েছে।