ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)\ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমির ফসল রক্ষাসহ নিরাপত্তার দাবিতে মানবন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী ৮ পরিবারের লোকজন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। মানববন্ধন শেষে জমির ফসল রক্ষাসহ নিরাপত্তার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।
মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়ী উপজেলাধীন কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগীরা আনছারুল ইসলাম, নুর ইসলাম,ইউনুছ আলী, আলি হোসেন, রুখসানা বেগম, সাদ্দাম হোসেন, মেহেরুন নেছা, মকছেদুল হক।
ভুক্তভোগীরা বলেন, তারা গত ৫মাস থেকে তাদের প্রতিবেশি কতিপয় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও পরধন লোভি নৈরাজ্যকারী হিসেবে খ্যাত, একটি ভয়ঙ্কার গ্রæপের দাপটে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারছেনা।
ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন,অভিযোগকারীরা আওয়ামীলীগের দোসর। তারা নামমাত্র মূল্যে চাপ দিয়ে বিএনপির নেতা মরহুম তোফায়েল হোসেন চৌধুরীর চাচার জমি লিখে নিয়েছেন। তাদের সাথে আমার এ বিষয়ে কোন কথা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে কাজিহাল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারী নয়ন হোসেন জানান, মূলত আমরা এই জমি মরহুম তোফায়েল হোসেন চৌধুরীর কাছে লিজ নিয়ে আবাদ করেছি। ওই ৮জনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো বিএনপি নেতা তোফায়েল হোসেন চৌধুরীর। আমরা আমন ধান কেটেছি এটা সত্য, তবে ইরি ধান আমরাই রোপণ করেছি। অভিযোগকারীরা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের নামে জমি লিখে নিয়েছিলো।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মরহুম তোফায়েল হোসেন চৌধুরী’র ছেলে আব্দুল্লাহ আল আরাফাত বলেন, ওই জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজিহাল ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার দোসরদেরকে এসব জমি নিয়ে দিয়েছে। এই দোসরদেরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে মানিক রতন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, জমি নিয়ে দুপক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। এক পক্ষ ২০ বছর ধরে ওই জমি দখল করে রেখেছিল আরেক পক্ষ দখল করে আন্দোলন করছে। জমিজমার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। এটি আদালতের ব্যাপার আদালত দেখবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসাহাক আলী বলেন, রশিদপুর গ্রামের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা একটি স্বারকলিপি প্রদান করেছে, যাহা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট উপদেষ্ঠা বরাবর প্রেরন করা হবে।