দিনাজপুরে ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) দিনাজপুর জেলা শাখা।
বিগত ৪৮ বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অগ্রগতির স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে ভিন্ন অধিদপ্তরে একিভুতকরণের অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনের মহাসড়কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিএনএ জেলা শাখা।
অপরদিকে একই দাবিতে একই সময়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা ও দিনাজপুর নার্সিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান বাংলাদেশ নার্সিং এসোসিয়েশন-বিএনএ নেতারা। তাদের ১০ দফা দাবি মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “বিগত ৪৮ বৎসরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অগ্রগতির স্বতন্ত্র প্রশাসন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্ত করার অপচেষ্টা বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন করা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি বান্ধব ও যুগোপযোগী নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, ক্যারিয়ার প্যাথ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা,
সুপারিনটেনডেন্ট পদকে যথাক্রমে ৯ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেড এবং ৭ম গ্রেড থেকে ৫ম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ নার্সিং সুপারভাইজার এবং নার্সিং-মিডওয়াইফারি ইন্সট্রাক্টর পদ ২টিকে অন্যান্য অধিদপ্তরের ন্যায় ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি লায়লা আরজুমান, সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম সিয়াম, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, ছাত্র প্রতিনিধি মোছাঃ শাহনাজ পারভীন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও মিডওয়াইফারি প্রতিনিধি নাসরিন বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে মানববন্ধনে দিনাজপুর নার্সিং কলেজের ইন্সটাক্টর রাখি আক্তার, দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সেবা তত্ত¡াবধায়ক অঞ্জলি রানী সরকার, নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ও বিএনএ স্টান্ডিং কমিটির সদস্য ড. রুবিনা আক্তার, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মোছাঃ সিদ্দিকা বেগম, মোছাঃ শহর বানু, নার্সিং ইন্সটাক্টর ফেরদৌসি বেগম, মাসুদা পারভীন, সিনিয়র স্টাফ নার্স শিউলি বেগম, তাবাসসুম আরা, মনিরা খাতুনসহ অন্যান্য নার্সিং কর্মকর্তা, উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন “সেবা পরিদপ্তর” যা উন্নীত হয়ে বর্তমানে “নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর” হয়েছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যানমূখী নার্সিং ব্যবস্থাপনা, নার্সিং শিক্ষা ও প্রশাসন সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা প্রতিবন্ধকতা ও বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সেবাকে এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু নার্সিং প্রশাসনকে ধ্বংস করে একটি মহল নিজেদের মত করে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করছে। যতবার অবশেষে করা হয়েছে ততবারই সর্বস্তরের নার্সগণ তা প্রতিহত করেছে। আগামীতেও সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।


















