বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের বিরলে বৈরি আবহাওয়ায় উঠতি আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ৩ দিনের টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঝড়-হাওয়ার কারণে জনজীবনে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।
কয়েক দিন আগেও যেই কৃষক নিজ গোলায় নতুন ধান উঠানোর স্বপ্ন দেখতো। মুখে ছিল আনন্দের হাসি। আজ যেন সেসব কৃষক-কৃষাণীদের মুখে কালো মেঘের ছাঁয়া আর মনে বাঁজছে বিষাদের সুর। সুখের স্বপ্ন যেন পরিনত হয়েছে দুঃস্বপ্নে ।
গত ৩ দিনের টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকাসহ ঝড়-হাওয়ায় এ উপজেলায় প্রায় উঠতি আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উঠতি ফসল তাই শীষ ভারি হয়ে আসার কারণে অনেক কৃষকের ধানের রোপা পানিতে হেলে পড়ে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে দানা পুরোপুরি পরিপুষ্ট না হবার কারণে এসব ধান বেশির ভাগই চিটা বা নষ্ট হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। আর তা হলে বড় ধরণের ক্ষতিতে পড়বে এ উপজেলার আমন চাষী বা কৃষকরা।
শনিবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে গেলে উপজেলার ভান্ডারা ইউপি’র বালান্দোর গ্রামের মৃতঃ আব্দুল এর ছেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মুক্তারুল ইসলাম কান্নাবিজড়িত কন্ঠে জানান, আমি একজন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। নিজের আবাদি জমি বেশি না থাকার কারণে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে আমার আবাদের বেশির ভাগ ধানগাছ পানিতে হেলে পড়েছে। এতে আমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই আমি বিশেষ আঁটি বানিয়ে এসব ধানগাছ পানি থেকে তুলে দাঁড় করে রাখার চেষ্টা করছি। জানিনা কতটুকু সফল হব। এবারের আবাদ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। ভাবতাম পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে থাকবো। তা আর হলো না। তারমত এমন কথা জানিয়েছেন উপজেলার আরও অনেক কৃষক।
এব্যাপারে বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার রুম্মান আক্তারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমন রোপার এই বিষয়টিকে লজিং বা হেলে পড়া বলে। অনেক কৃষকের এমন হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। তবে রোপা বা ধানগাছ তুলে দাড় করিয়ে হয়তো খুব একটা ব্ষতি হবে না। তার পরেও আমরা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিরুপন করছি। নিরুপন সম্পন্ন হলেই কি পরিমান ক্ষতি হবে বা হয়েছে সেটা জানানো সম্ভব হবে।


















