পঞ্চগড় প্রতিনিধি \ পঞ্চগড়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের দায়ে জমি মালিক ও এস্কেভেটর চালকসহ দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়। এ সময় যন্ত্র ব্যবহার করে বালু ও পাথর উত্তোলনের জড়িত জমির মালিক শফিউল ইসলামকে (৬৬) ছয় মাস ও এস্কেভেটর চালক পলাশকে (২৬) তিন মাসের দন্ডাদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত জমির মালিকের বাড়ি যতনপুকুর এলাকায় এবং পলাশের বাড়ি যশোরে শার্শা এলাকায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানায়, উপজেলা সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় অবৈধ উপায়ে ফসলি জমির পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন করছিলেন জমি মালিক শফিউল ইসলাম। এসব বালি ও মাটি ওই এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয়ের উপস্থিতিতে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১০ এর ১৫(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে জমি মালিকে ছয় মাস ও এস্কেভেটর চালককে তিন মাসের বিনাশ্রম দন্ডাদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী বলেন, জমির মালিক প্রশাসনের অনুমতি ব্যাতিত সমতল মাটি কেটে পুকুর খননের নামে বালু ও পাথর অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করছিলেন। এর আগে তাকে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু শোনেন নি। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দন্ড প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় বলেন, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় মাটি কেটে অবৈধ উপায়ে বালু ও পাথর উত্তোলনের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এসব ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুইজনকে দন্ড দেয়া হয়েছে। আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।