শুক্রবার , ৩০ মে ২০২৫ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা বীরগঞ্জে বোরো ধান কাটার ধুম

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মে ৩০, ২০২৫ ৩:২৩ অপরাহ্ণ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির মধ্যেই থেমে নেই বোরোধান কাটা। চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধান কাটার ধুম লেগেছে।

প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। প্রাকৃতিক তেমন দুর্যোগ না থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন তারা। তারপরও কৃষকের মুখে হাসি নেই। শ্রমিকের উচ্চ মূল্য ও খরচের তুলনায় ধানের বাজার দর কম থাকায় উৎকণ্ঠায় কাটছে তাদের দিন। বেশিরভাগ কৃষকই বোরোধান উৎপাদনের ব্যয় মেটাতে ধারদেনা করে থাকে। তা মেটাতে ফসল কাটার সাথে সাথেই বিক্রি করতে হয় উৎপাদিত ধান। বর্তমানে নতুন ধান ১৮০০-১৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার শিবরামপুর,পলাশবাড়ী,শতগ্রাম,পাল্টাপুর,সুজালপুর,নিজপাড়া,মোহাম্মদপুর, ভোগনগর,সাতের,মোহনপুর,মরিচা ও বীরগঞ্জ পৌর এলাকা সহ সকল ইউনিয়নে ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠে বোরো ধান কাটার জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। তবে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা অন্যান্য বছরের তুলনায় হাটবাজার গুলোতে নতুন ধানের দাম পাচ্ছে না। তাদের পর্যাপ্ত পরিশ্রমের পর ধানের দাম কম হওয়ায় চাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের মুখে হাসি নেই। স্থানীয় কৃষকরা বলছে, বর্তমানে একজন ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে এক হাজার টাকার উপরে। বৃষ্টি হলেই শ্রমিকদের মজুরি আরো বেড়ে যায়। ধান ক্ষেতে পর্যাপ্ত খরচ করতে হয় তাদের। চারা রোপণ থেকে শুরু করে টিকনাশক ঔষধ, সার, সেচ দিতে অনেক খরচ হয়ে থাকে। ধানের আশানুরূপ দাম না পেলে অনেক বেশি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা বলছেন ধানের ন্যায্য

মূল্য না পাওয়ায় বিক্রি না করে ঘরে খোরাকির জন্য সংরক্ষণ করে রাখছেন। আর যারা ধারকর্জ দিয়ে চাষাবাদ করেছেন তারা ধান বিক্রি করে তাদের ঋণের টাকা প্ররিশোধ করতে দেখা গেছে। বীরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সনাতনপাড়া কৃষক দুলাল বলেন, চলতি বছর জমিতে অনেক ধান হয়েছে। বর্তমানে কাঁচা ধান সাড়ে ৮২ কেজি বোরোধান ১৮৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি, উৎপাদিত ধান কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। জমিতে সার, কীটনাশক, সেচ দিতে প্রচুর খরচ হয়েছে। সেই তুলনায় ধানের দাম অনেক কম।

সুজালপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারি এলাকার কৃষক সতীশ চন্দ্র বর্মন বলেন, বোরো ফসলি জমির সেচ ভাড়া (কামলা) শ্রমিকের খরচ বেশি হয়েছে। সেই তুলনায় লাভের আশা করা যায়না।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ২৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন,বীরগঞ্জ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বোরোধান আবাদ বাম্পা হয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত