বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে পল্লীতে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শিশু কন্যাকে হত্যার করার গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ঐ শিশু কন্যার পিতা সহ দাদা ও দাদীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
মৃত শিশু কন্যা সুমাইয়ার নিকট আত্মীয়রা থানা ভবনে সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ১নং নাফানগর ইউনিয়নের ডহরা (মেম্বারপাড়া) গ্রামের মোঃ সোহেল রানা (৪০) এর স্ত্রী মোছাঃ মাশতারা বেগম (১৮) প্রতিদিনির ন্যায় তার নিজ শয়নকক্ষে শিশু কন্যা মোছাঃ সুমাইয়া (আড়াই মাস) সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় ২/৩ ব্যক্তি মাশতারার ঘরে প্রবেশকরে তার মুখে পড়নের পেচিয়ে তাকে অজ্ঞান করে শিশু কন্যাকে ছিনিয়ে নেয়। প্রতিবেশীরা মাশতারার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পায় শিশু কন্যার মা অজ্ঞান অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে কিন্তুু তার নবজাতক শিশুটি নেই । এলাকাবাসী রাতেই শিশুকন্যাকে বিভিন্ন জায়গা খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে বাড়ীর পাশের্^ পুকুরে শিশু কন্যার নিথর দেহ পানিতে ভাসতে দেখতে পায় শিশু কন্যার দাদি রিনা বেগম। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নবাব আলী বোচাগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু কন্যার মৃত দেহ ও তার পিতা সোহেল রানা, দাদা মোঃ জামান ও দাদি রিনা বেগমকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। মৃত শিশু সুমাইয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। এব্যাপারে বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহামুদুল হাসান জানান, শিশু হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুুতি চলছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩জনকে আটক করা হয়েছে। ১নং নাফানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ পারভেজ সাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা অপারাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। উল্লেখ্য যে, গত ১ বছর আগে অটো (পাগলু) চালক মোঃ সোহেল রানার সাথে হরিপুর থানার বাসিন্দা মাশতারার সাথে বিয়ে হয়। সোহেল রানার এটি দ্বিতীয় স্ত্রী।