আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
এখনো হয়নি প্রতিক বরাদ্দ তবুও আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী বাঁশ দিয়ে বানানো
নৌকা প্রতিক নিয়ে এবং নেতাকর্মি সমর্থকদের সাথে করে বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসেছেনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল
করতে। একইভাবে অন্যান্য সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যরা বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সামনে মনোনয়ন দাখিলে এমন আচরণ-বিধি লঙ্গনের হিড়িক হলেও তিনি অজ্ঞাত কারণেই নিশ্চুপ রয়েছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর। আগামী ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল রোববার ছিল ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ৫ ইউপি নির্বাচনে
চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন।
এদিন উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী
আতিকুর রহমান বকুল তার নির্বাচনী এলাকা থেকে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে প্রথমে পৌরশহরের হ্যালিপ্যাড মাঠে গাড়ীগুলো রাখেন। সেখানে নৌকা প্রতিক সাথে নিয়ে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে নৌকা প্রতিক মিছিলের সামনে রেখে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন দাখিল করেন।
একইভাবে লেহেম্বা ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম
বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন। অপরদিকে একই ইউনিয়নে উপজেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রওশন আলী মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
ধর্মগড় ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেমও নৌকার স্লোগান ধরে
বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিশেষ করে আ’লীগ মনোনীত
চেয়ারম্যানের নেতাকর্মিরা নৌকার স্লোগান ধরে বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়ন
দাখিল করেছেন।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এমন গণজমায়েতের কারণে নির্বাচন অফিসের সামনে রাণীশংকৈল-নেকমরদ মহাসড়ক বিশাল যানজটে পড়ে যায়। এতে পথচারীরা পড়েন বেশ ভোগান্তিতে ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুর-ই আলম গতকাল রোববার দেড়টায় মুঠোফোনে বলেন, একজন প্রার্থী সবোর্চ্চ ৫ জন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। কখনোই বিশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা ও প্রতিক নিয়ে মনোনয়ন পত্র
দাখিল করা যাবে না। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় আমি ব্যবস্থা নেব। তবে
আচরণ-বিধি লঙ্গনের বিষয়টি দেখার জন্য আইনশৃঙ্গলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া
রয়েছে।