এসএম মশিউর রহমান সরকার, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি জাতীয় দৈনিকে কর্মরত সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বালিয়াডাঙ্গী সাংবাদিক সমাজের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মনজুরা বেগম, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, রমজান আলী, এস এম মশিউর রহমান সরকার, দবিরুল ইসলাম, এনএম নুরুল ইসলাম,রাজিউর রহমান জিহাদ রাজু, শেখ মুজিবুর রহমান শেখ, জুলফিকার আলী শাহ, আল মামুন জীবন, মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলু, জানে আলম শেখ, আব্দুস সবুর, আবু হাসনাত, এসএম ম্যারীয়ন সরকার প্রমুখ।
সাংবাদিকরা বলেন-মিথ্যা হয়রানী মূলক একটি মামলায় আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগাম জামিন নিতে গিয়েছিলেন সংবাদিক আজাদ সহ ৯ জন আসামী। জামিন না মঞ্জুর করে ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। গত ১৭ দিন যাবৎ কারাগারে রয়েছেন সংবাদিক আজাদ। মামলাটিতে সাংবাদিক আজাদকে হয়রানীর জন্য আসামী করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে মামলাটি পুনরায় তদন্ত এবং সংবাদিক আজাদকে জামিন দিতে আদালতের বিচারকের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মানববন্ধনে উপস্থিত সংবাদিকরা।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর বিয়ের নামে এক যুবকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ ৯ আসামি সিআর মামলায় স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। গত বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করলে ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন দেয় আদালত। অন্যদের জামিন না মঞ্জুর করে।
২০১৯ সালের ৯ মে বালিয়াডাঙ্গীর চাড়োল ইউনিয়নের ছোট সিংগিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে কাবিন নামায় সই করে নেন অভিযুক্তরা। এ সময় দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ী গ্রামের রিতা আক্তারকে জোর করে বিয়ে করতে বলা হয়, তা না হলে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন মামলার আসমীরা। এসব অভিযোগে মিজানুর বালিয়াডাঙ্গী থানায় ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। পরে সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন মোসাব্বেরুল হক।