ঠাকুরগাঁও : মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ঠাকুরগাঁওয়ে শতভাগ মাস্ক পড়া নিশ্চিত ও মাস্ক পড়তে জনগণকে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন আয়োজিত সচেতনতামূলক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এখন পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৩২৭ জন। এরমধ্যে সু¯’ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১৬৫ জন ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন।
সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি। আর এই শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে যা”েছ। তাই আগে থেকেই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাই নিজের জীবন বাঁচাতে হলে মাস্ক পড়তে হবে ও সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হয় তাহলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তাকে সচেতন করা হবে।
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলাকে মহামারী করোনা থেকে বাঁচাতে হলে নিজেকে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পড়তে হবে। মাস্ক না পড়লে তাকে কোন ধরনের সেবা দেওয়া যাবেনা। নো মাস্ক নো সার্ভিস এ বিষয়টি আমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে করোনা এই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা সম্ভব।
ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, স্বা¯’্যবিভাগসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী অফিসের কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষরা অংশগ্রহণ করেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে.এম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান মনির, সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজুর রহমান সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।
কর্মসূচি শেষে জনগনের মাঝে নিজ হাতে মাস্ক পড়িয়ে দেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করতে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে। প্রতিনিয়ত আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কেউ আইন অমান্য করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।